সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, আতাইকুলা থানার কুমারগারী বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে খোকন (৫০), একই গ্রামের আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে শাহিন বিশ্বাস (৪৪), ভারিয়াডাঙ্গি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (৪৫), সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ গ্রামের আজিজ মোল্লার ছেলে শুকুর আলী মোল্লা (৪৫) ও একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে কাঞ্চন (৪৩)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলো, সুজানগর উপজেলার ভবানীপুরের সলিমউদ্দিনের সেলিম হোসেন (৪০) ও তাছির উদ্দিন মিয়ার ছেলে আলতাফ হোসেন (৪৫)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল রাতে আতাইকুলা থানার কুমারগারী গ্রামে আবু সাঈদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার বন্ধুরা। পরদিন নিহতের ভাই রবিউল বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আতাইকুলা থানার তৎকালীন এসআই আখের আলী তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারী ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দয়রা জজ আদালত (১) এর বিচারক রুস্তম আলী পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর ৬ মাস করে কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করেন। অপর দুইজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন আদালতে হাজির ছিল। বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে। মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন আইয়ুব খান খোকন আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন সালমা আক্তার শিলু।খবর ২৪ঘণ্টা/ নই