1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পাবনায় সরকারি কলেজ শিক্ষককে মারধরে মামলা ; গ্রেপ্তার-২ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন

পাবনায় সরকারি কলেজ শিক্ষককে মারধরে মামলা ; গ্রেপ্তার-২

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৯

পাবনা প্রতিনিধি:উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনে বাধা দেয়ায় পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের প্রভাষক মাসুদুর রহমানকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১২ মে’র এই ঘটনা কলেজের সিসিটিভির ক্যামরায় ধরা পড়া ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। 

হামলার শিকার শিক্ষকের দাবি, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সামসুদ্দিন জুন্নুনের নির্দেশে তার ওপর হামলা হয়। তবে, ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ রয়েছে দাবী করে ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। আর ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের নাম উঠে আসায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

এদিকে, এ ঘটনায় বুধবার (১৫ মে) মধ্যরাতে মামলা হয়েছে। পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল হক জানান, কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আব্দুল কুদ্দুস বাদি হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামী করে মামলাটি করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-জেলার ঈশ^রদী উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে সজল ইসলাম ও পাবনা সদরের মালঞ্চি গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে শাফিন শেখ। হামলায় বহিরাগত এই দু’জন অংশ নেয়। 

তবে, হামলায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সামসুদ্দিন জুন্নুনকে দোষারোপ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে মামলায় তাকে আসামী করা হয়নি।

ভুক্তভোগী শিক্ষক মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ৬ মে তারিখে কলেজের ১০৬ নম্বর কক্ষে উচ্চ মাধ্যমিকের উচ্চতর গণিত পরীক্ষায় পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলাম। এ সময় দু’জন ছাত্রী পরীক্ষার্থী দেখাদেখি করায় তাদের সতর্ক করি। তারপরেও তারা বিরত না হলে, কিছু সময়ের জন্য খাতা জব্দ করে রাখায় তারা ক্ষুব্ধ হয়। এ ঘটনার পর বুঝতে পারছিলাম ছাত্রলীগের ছেলেরা আমার উপর ক্ষুব্ধ। পরে, ১২ মে বাড়ি ফেরার সময় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সামসুদ্দীন জুন্নুনের নির্দেশে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাকে কিল, ঘুষি,লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। 

৩৬ তম বিসিএস এর শিক্ষক মাসুদুর রহমান আরো বলেন, আমাকে মারধোরের পর ঘটনা আড়াল করতে আমার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমি সরকারী চাকুরীজীবী হিসেবে, কর্মরত অবস্থায় লাঞ্ছিত হলাম, এরপরেও যদি বিচার না পাই তবে আর কিছুই বলার নেই।

ঘটনার পর উৎকন্ঠা আর আতংক ভর করেছে সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের মাঝে। কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা সমগ্র শিক্ষক সমাজের জন্য অপমানের। ভয়ে আছি, না জানি আমাদের ওপর কখন বা হামলা হয়। আমরা এ হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, নিরাপদ কর্মপরিবেশ চাই।

কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আব্দুল কুদ্দুস বলেন, শিক্ষকের ওপর ন্যাক্কারজনক এ হামলা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। আমরা এ ঘটনায় আইনী পদক্ষেপ নিয়েছি। মামলার অভিযোগ থানায় দেয়া হয়েছে। আশা করছি পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে।

অভিযুক্ত সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শামসুদ্দিন জুন্নুন বলেন, মাসুদ স্যারের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটা দু’জন ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়েছে। এ হামলায় আমার বা ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা নেই। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা স্যারকে আক্রমণ করলে আমরা প্রতিরোধ করে সন্ত্রাসীদের বের করে দিয়েছি। আমরা স্যারের ওপর হামলার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

শিক্ষক মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা ছাত্রী ফারহিন রহমান মীম বলেন, গত ৬ মে পরীক্ষা চলাকালে মাসুদ স্যার আমাদের বেশ কয়েকজন ছাত্রীর হাত ধরেন। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা ১২ মে প্রিন্সিপাল স্যারে কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এখানে ছাত্রলীগের কারো সাথে আমাদের কথা হয়নি বা তাদের ডাকিনি। আর নকল করার কথা বলা হলেও আমরা কোনো নকল করিনি, একটু দেখাদেখি করেছিলাম।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিবলী সাদিক জানান, আমরা ছাত্রলীগ সকল বিতর্কের উর্ধ্বে থাকতে চাই। যেহেতু ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের নাম উঠে এসেছে, সেকারণে জেলা ছাত্রলীগের জরুরী সভা করে সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। আর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। 

ওই কলেজের শিক্ষকদের অভিযোগ, কেবল মাসুদুর রহমানই নন, এর আগে একাধিক শিক্ষক ছাত্রলীগ নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে কলেজ ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ভয়ে মুখ খোলেননি তারা। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে এসব ঘটনার বিচার দাবী করেছেন শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।খবর ২৪ঘণ্টানই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST