পাকিস্তানের মাটিতে ভারত আবারও হামলা চালাতে যাচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পুনরায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেছে পাক সরকার। পরমাণু সমৃদ্ধ প্রতিবেশী দেশ দু’টির মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তার আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি সতর্ক করে বলেন, ভারত যদি হামলা চালায় তবে তার যোগ্য জবাব দেবে পাকিস্তান।
শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে আমরা এটা জানতে পেরেছি যে, ভারত আবারও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিকল্পনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা এটাও জেনেছি যে, তারা তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশের কাছ থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এই দু’দেশ তিনবার পরিপূর্ণ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।
এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম করে পাক-অধ্যুষিত কাশ্মিরে সন্দেহভাজন জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালানোর দাবি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তখন ওই হামলাকে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নামে অভিহিত করা হয়েছিল। তবে ভারতের এই হামলার দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তান।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেও একই ধরনের হামলা চালিয়েছে ভারত। তবে সে সময় পাক বিমান বাহিনীর গুলিতে দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হয়। এছাড়া ভারতীয় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে পাক সেনাবাহিনী। তবে পরবর্তীতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি রেখেছে দু’দেশই।
পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি সতর্ক করে বলেন, ভারত যদি হামলা চালায় তবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালাবে। তিনি বলেন, আমি ভারতকে পরিষ্কার করে এটা বলতে চাই যে পাকিস্তান পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তারা যে কোনো হামলায় জবাব দেবে এবং ভারতের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দেবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমরা তাৎক্ষণিক ও কার্যকরভাবে জবাব দিয়েছি। তারা যদি এই পথ বেছে নেয় তবে আমরা আবারও সেভাবেই জবাব দেব। তবে হামলার বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোয়েদ ইউসুফ জানিয়েছেন, ভারতের হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের কাছে খুবই নির্ভরযোগ্য এবং নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে।
জেএন