নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্লবীর নান্নু মার্কেট সংলগ্ন বাড়িটি এখন কারা বসবাস করছে এ নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জামিল বাহিনীর সদস্যরা বাড়ীটি দখল করলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সন্ত্রাসীরা আড়ালে গিয়ে তাদের সহযোগীদের দিয়ে দখল অব্যাহত রেখেছে। প্রায় রাতেই বাড়িটিকে ঘিরে সন্ত্রাসীদের আনাগোনায় জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। বাড়িটি মিরপুর সেকশন-বাসা-৯, রোড-৫, ব্লক-এ তে অবস্থিত।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযোগ রয়েছে মামুন জামিল বাহিনীর সদস্য আমিরুজ্জানও তার সহযোগীরা বাড়ীটিতে রাতের আধারে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দখল করে। এ বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন হয়। দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন গন্যমাধ্যমে ভূমিদস্যু আমিরুজ্জামানের দখল বাজী সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে সময়ে বাড়ীটি দেখতে ভীড়জমায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মিরপুর ২ হাউজিংয়ের লোকজনও আসে। স্থানীয় কাউন্সিলর, প্রশাসনের লোকজন বাড়ীটির বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিয়ে দেখেন। খোঁজেন বাড়ীর প্রকৃত মালিকদের। কিন্তু কিছুদিন আগে যারা বাড়ীটি দখল করে রেখেছিলেন তাদের দেখা মিলছেনা। বাড়ীটিতে নতুন আরেকদল দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বাড়ীর মালিক দীর্ঘদিন আগে মারা যান। তার ছেলে মেয়ে না থাকায় তার আত্মীয়স্বজনরা এ বাড়ীর মালিকানা হন। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী বর্তমানে এই বাড়ীর প্রকৃত মালিকরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোথায় আছে কেউ বলতে পারেনা।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জামিলের সহযোগীদের কাছ থেকে তাদের প্রানসংশয়ের ভয় আছে। যার কারনে তারা তাদের বাড়ীটি দখল নিতে পারছেনা। বাড়ীর প্রকৃত কাগজপত্র মিরপুর ২ হাউজিং এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ রেকর্ড রুমে কোনো তথ্য নেই বলেও জানান কতৃপক্ষরা। কার ইশারায় বাড়ীটির মুল নথিপত্র গায়েব হলো সে বিষয়েও স্পষ্ট নয়।
জানা যায়, ক’দিন আগে আমিরুজ্জামানের অনুসারী লিমন ওরপে ভুড়ি লিমন, তার (স্ত্রী-মক্ষীরানী) রানী ইয়াসমিন এই বাড়ীতে বসবাস করে। জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের পর তাদের আর দেখা মিলছেনা।
গতকাল উক্ত বাড়ীটিতে দুটি বাচাসহ তিনজন নারী খুব হাসি-খুশি ক্ষুনশুটিতে অবস্থায় দেখা গেছে। স্থানীয়দের দাবী দু’দিন পর পর এই বাড়ীতে বহিরাগতরা বিভিন্ন ধরনের মদ্যপানের পার্টির আয়োজন চলে। এতে আশেপাশে বসবাসকারীদের বিরক্ত হলেও ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনা। এ বিষয়ে থেকে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এম/আর