যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আগামী (৯ অক্টোবর) রোববার সারাদেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদযাপিত হবে।
বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস উপলক্ষে (১২ রবিউল আওয়াল) দেশের মুসলিম সম্প্রদায় ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদযাপন করবেন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দিবসটি জাতীয় পর্যায়ে পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনাসহ ইউনিট, ঘাঁটি ও জাহাজগুলোয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। পক্ষকালব্যাপী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনীর ওপর আলোচনাসভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করবে ইসলামী ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে দিবসটির যথাযোগ্য গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। শিশু একাডেমিতে শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তাইয়্যেবা’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শন করা হবে। রাতে সরকারি ভবনগুলো ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ওয়াকফ প্রশাসনসহ সারাদেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোয় হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সুত্র-আরটিভি