নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলায় আসামী কর্তৃক মামলার বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার বাদী ফিরোজ আহম্মেদ রানা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার লিখিত অভিযোগ ও পবা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন একই উপজেলার আছেরের ছেলে মাসুদের সাথে আসামী স্বপন আলীর বাকবিতন্ডা হয়।
ওই ঘটনার পর স্বপন আলী ফিরোজকে মোবাইল ফোনে নির্বাচনের দিনের গন্ডগোল মীমাংসার জন্য গত ২০ জুন দুপুর ১২টার দিকে পবা থানার আনসারের মোড়ে ডাকে। তার কথামত সেখানে ফিরোজ ও মাসুদ মোটরসাইকেল যোগে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্বপন আলী (২৬) ও রিপন আলী (৩২), উভয় পিতা: আনসার মেম্বার, আনসার মেম্বার (৬০), পিতা: মৃত নছির মন্ডল, রাজু আহম্মেদ (২৬), পিতা: আব্দুল কুদ্দুস, শান্ত (১৮), পিতা: খালেক, নবী (২৮), পিতা: নাজিত আলী, জোহা (২৬), পিতা: আব্দুল হাকিম, সর্ব সাং-মধ্য ভালামসহ
অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জন তাদের উপর হামলা করে। তারা মাসুদ ও ফিরোজকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। এ ছাড়াও তারা ফিরোজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তার পকেটে থাকা ২৫ হাজার ৪০০ টাকা কেড়ে নেয়। এ ঘটনার পর তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে তিনি উপরে উল্লেখিত আসামী ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের নামে পবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের
পর আসামী স্বপন আলী ও রিপন আলী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। গত ১০ জুলাই আসামী স্বপন জামিনে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়। জেল থেকে বের হয়ে আসার পর ১১ জুলাই আসামী স্বপন আলী আনসারের মোড়ে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দেয়। মামলা তুলে না নিলে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। আসামীর কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার পর ফিরোজ পবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও আরএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
পবা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রেজাউল হাসান বলেন, আসামীকে ধরা হয়েছিল।
সে জামিন পেয়ে বাদীকে হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগে বাদী ফিরোজ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন