নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান রাজের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রস্তুতে অনিয়ম ও বৈষম্যকরণের অভিযোগ উঠেছে। দর্শনপাড়া ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শারমিন শিলা পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের মাতৃত্বকালীন ভাতা বিশেষ বরাদ্দ ২২জন গর্ভবতী মা ও শিশুর ভাতা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস হতে পায়। কিন্ত ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান রাজ মহিলা সদস্য শিলার ভাগের বরাদ্দ অন্য পুরুষ ও মহিলা সদস্যের কাছ থেকে গ্রহণ করে তালিকা প্রেরণ করে।
শুধু তাই নয় চেয়ারম্যান ওয়ার্ড সদস্য শিলাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় যে, তুমি এমপি আয়েনের লোক তার সাথেই যোগাযোগ করো। তুমি কোন বরাদ্দ পাবে না। কোন কাজের বরাদ্দ আসলে সকল মেম্বরদের সাথে আলোচনা না করে মনগড়া রেজুলেশন করেন। ফাঁকা রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষরও করে নেয়। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয় যা পারিস করে নিস। চেয়ারম্যান স্থানীয় পরিষদের ৪ মাসের বেতন ভাতাও আটকিয়ে রেখেছে বলে আরো অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরো অভিযোগ করা হয়, কিছু ওয়ার্ড সদস্য অর্থের বিনিময়ে সরকারী নিয়ম না মেনে প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তিদের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের তালিকা করেছে। তাই তিনি বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
দর্শনপাড়া ইউনিয়নের মহিলা ওয়ার্ড সদস্য শারমিন শিলা বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকা তৈরিতে যে অনিয়ম করা হয়েছে সেই বিষয়ে ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে দর্শনপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান রাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি মুখের কথা বিশ্বাস করিনা। ইউএনও অফিস থেকে চিঠি আসলে জানতে পারবো। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সত্য কিনা সে বিষয়ে বলেন, সেটা ইউএনও তদন্ত করে দেখবেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবিরের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে