খবর২৪ঘণ্টা.বিনোদন,ডেস্ক: পদ্মাবতীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আর্জি ফের খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। চলতি মাসেই এই নিয়ে তিন বার ওই নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ হয়ে গেল।পাশাপাশি, ওই ছবির সমালোচনায় যে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছিলেন, মঙ্গলবার তাঁদের ভূমিকাকেও ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। আদালতের মন্তব্য, ‘সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন ইস্যুতে মন্তব্য করাটা মোটেই উচিত নয়।’
বিচারপতিরা এ-ও জানান, ছবিটি রিভিউ করে তা আদৌ হলে দেখানো যাবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যাবতীয় দায়িত্ব জাতীয় সেন্সর বোর্ডের। তাঁদের মন্তব্য, ‘‘বিষয়টি যখন সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)-এর বিবেচনাধীন রয়েছে, তখন সেই ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিরা কী ভাবে মন্তব্য করেন?এ তো তাদের সিদ্ধান্তকে রীতিমতো প্রভাবিত করা।’’
এর আগে পদ্মাবতী বিতর্কে রাজস্থান, গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশ— এই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা জানিয়েছিলেন, সেন্সর বোর্ডছাড়পত্র দিলেও তাঁদের রাজ্যে ওই ছবি দেখানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। এমনকী, কেন্দ্রীয় এক মন্ত্রী পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভংসালীকে জানিয়েছিলেন, ছবিটির বিরোধী পক্ষ এবং ইতিহাসবিদদের সঙ্গে বসে একটা এমন একটা ভার্সন তৈরি করতে, যেটা সর্বজনগ্রাহ্য হয়। কিন্তু, সঞ্জয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত এ দেশের বেশির ভাগ ব্যক্তিই তার বিরোধিতা করেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা গোটা ঘটনার নিন্দা এবং প্রতিবাদও করে চলেছেন।
ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে, পাশাপাশি হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত দেবে— এই অভিযোগ তুলে পদ্মাবতীকে নিষিদ্ধ করার আবেদনকরণী সেনার পাশাপাশি শাসক দল বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ বেশ কিছু দিন ধরেই করে আসছেন। পরিচালকের পাশাপাশি ওই ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও নানা ধরনের হুমকি-হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার মধ্যে প্রাণনাশের হুমকিও ছিল। এ দিন শীর্ষ আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এ ভাবে কোনও ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার এক্তিয়ার তাদের নেই।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জিম