খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানোর কাজ রবিবার সকালে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও স্প্যানটি পিলারে উঠানো সম্ভব হয়নি। আজ ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে ১৫০ মিটার স্প্যানটি বসানো হয় সেতুর জাজিরা প্রান্তে। সেতুতে এ রকম ৪১টি স্প্যান বসানো হবে।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, একটি শক্তিশালী ক্রেনের সাহায্যে স্প্যানটি ২০ জানুয়ারি বিকালে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরা প্রান্তে আনা হয়। ১৫০ মিটারের স্প্যানটির ওজন ৩ হাজার ২০০ টন।৩ হাজার ৭০০ টন ওজনের একটি ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে স্প্যানটি আনা হয়।
স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে পিলারের কাছে পৌঁছতে তিন দিন লাগার কথা। কিন্তু নদীতে প্রচণ্ড কুয়াশা, পদ্মা সেতুর কাজে ভারী যন্ত্রাংশ ব্যবহার ও নদীতে নাব্য সংকট থাকায় স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনটি জাজিরা প্রান্তে পৌঁছতে আট দিন লাগে। ৩৩ নম্বর খুঁটির কাছ থেকে স্প্যান বহনকারী ভাসমান ক্রেনটি গতকাল সকালে ৩৮-৩৯ নম্বর পিলারের দিকে রওনা হয়। বেলা ১১টার দিকে ওই ক্রেনটি সেখানে পৌঁছে। তার পর থেকেই ক্রেনটি স্প্যান পিলারে বসানোর কাজ শুরু করে।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এর আগে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির মধ্যে প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। এর চার মাস পর দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হয়। এটিসহ মোট ১২টি স্প্যান রয়েছে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। দুটিতে রঙের কাজ চলছে। ওই দুটি স্প্যান আগামী ফেব্রুয়ারি ও মার্চে বসানো হবে।
জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় (তীরের কাছের অংশ) ৪০ নম্বর পিলারটি স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আর ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারটির ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ওই দুটি পিলার প্রস্তুত হতে আগামী জুন পর্যন্ত সময় লাগবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের (মূল সেতুর) একজন উপসহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘স্প্যান নিয়ে ক্রেনটি গতকাল বেলা ১১টার দিকে পিলারের কাছে পৌঁছে। তখনই বসানোর কাজ শুরু হয়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ