পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে মোঃ ওবায়দুর রহমান পরিবার অন্যতম। পিতা মৃত আলহাজ্ব খবির উদ্দিন এর ৩য় সন্তান মোঃ ওবায়দুর রহমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার ব্রত নিয়ে ওবায়দুর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বর্তমানে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি নিজের জন্মস্থান রাজশাহীর (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) মানুষের জন্য ভালো কিছু করার তাগিদ থেকেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছিলেন। এবার তিনি আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চান না।
একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে বৃহত্তর রাজশাহীর যত আসন রয়েছে সেখানে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে এমনকি দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে পারবেন। ছোটবেলা থেকেই মস্তিষ্কে বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ প্রবেশ করেছিল যে দলের নেত্রীর প্রতিটি নির্দেশ পালনের জন্য দলের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিরন্তর। রাজনীতি করতে গিয়ে ওয়ান ইলেভেন ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বহুবার কারাবরণ ভোগ করেছেন। হয়রানি ও নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন। তবুও শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সমুন্নত রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন ওবায়দুর রহমান। তৃণমূল আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় তরুণ এ নেতা শেখ হাসিনার উন্নয়ন সর্ব সাধারণের মাঝে তুলে ধরতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। ধান ক্ষেতের আইলে দাঁড়িয়ে কৃষকের খোঁজ নেন তিনি। হিন্দু ও মুসলিম বলে কোন কথা নেই, সবার অনুষ্ঠানে দাওয়াত পান এবং সেগুলোতে নিয়মিত যাওয়া আসা করেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার এই মানুষটি। সবসময় চেষ্টা করেন এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে। পুঠিয়া উপজেলা ও দূর্গাপুর থানার কেউ অসুস্থ হয়ে রাজশাহী এসে যদি হাসপাতালে ভর্তি হন, নিজে গিয়ে অথবা লোক পাঠিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর ) ঐতিহ্যগতভাবেই নৌকার আসন হিসাবে পরিচিত। বর্তমান এমপির প্রতি আমার কোনো রাগ-অনুরাগ নেই। কিন্তু দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে তখন আমার এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা এতটাই ভঙ্গুর ও নাজুক যে তা বলে শেষ করা যাবে না। বাড়ি থেকে মসজিদ ও মাদ্রাসায় গিয়ে নামাজ পড়ার আগে আবারো কাঁদা ধুয়ে নিতে নয়। বর্তমান এমপি যতটুকু কাজ করেন তা লোক দেখানো। মানুষ থেকে প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন তিনি। নিজের আখের গোছাতেই তিনি ব্যস্ত। আরেকটি কষ্টের কথা, পুঠিয়া-দূর্গাপুরে হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের উৎপাত বেড়ে গেছে। প্রকৃত আওয়ামী লীগ করেন এমন নেতারা সবচেয়ে কম মূল্যায়িত হন। ওবায়দুর রহমান আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তবে আওয়ামী লীগের সবাইকে এক মঞ্চে নিয়ে আনতে চাই। আমাকে নিয়ে কোনো গ্রুপিংও নেই এলাকাতে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলতে পারি, শেখ হাসিনা নৌকা দিলে দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জিতে আসতে পারবো। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকতে দিবো না। এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করতে চান। মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং বন্ধ করে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যোগ্যতা অনুযায়ী বেকারদের তালিকা করে চাকরি দিতে চান। এক্ষেত্রে বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠা করে কল কারখানা প্রতিষ্ঠায় মনোযোগ দিবেন। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধন করার ইচ্ছা পোষণ করে ওবায়দুর রহমান বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হলে আমার এলাকার সকল কে শিক্ষার আওতায় আনতে চাই সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানদের সম্পূর্ণ বিনা মুল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে চাই। করতে চাই কারিগরি শিক্ষা সবার জন্য উন্মুক্ত।খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ