রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ভিসির (ভাইস চ্যান্সেলর) পদ শূন্য রয়েছে গত ৩০ এপ্রিল থেকে। ওই দিন থেকে ভিসির রুটিন দায়িত্বে আছেন কোষাধ্যক্ষ। রোববার পর্যন্ত নিয়মিত ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। এ নিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় অরাজনৈতিক সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ একজন সৎ, যোগ্য ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভিসি নিয়োগ দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রত পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি দিয়েছেন।
রামেবি সূত্র মতে, ২০১৬ সালের আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রথম ভিসি নিয়োগের মধ্য দিয়ে। কিন্তু সাবেক ওই প্রথম ভিসির বিরুদ্ধে বহু অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগসহ অসুস্থ্যতার কারণে গত চার বছরেও বিশ্ববিদ্যালয়টির দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। বিশ^বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্গানোগ্রাম, সংবিধি এবং জমি অধিগ্রহনসহ কোন কাজই হয়নি। বর্তমানে নিয়মিত ভিসি না থাকায় নীতি নির্ধারণী কাজসহ চলমান অনেক গুরুত্বপূূর্ণ কাজ স্থবির হয়ে আছে।
এদিকে, নিয়মিত ভিসি নিয়োগ না হওয়ায় ওই পদে নিয়োগ প্রত্যাশীরা সরকারের শীর্ষ মহলে জোর তদবীর চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্ভাব্য ভিসির দৌঁড়ে প্রথম দিকে প্রায় এক ডজন চিকিৎসকের নাম শোনা গেলেও শেষ মূহুর্তে দু’জনের নাম রয়েছে আলোচনার শীর্ষে। তাদের একজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্তমান পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) সাবেক অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবিব, অন্যজন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা. মোস্তাক হোসেন।
সূত্র মতে, ডা. আহসান হাবিব বিএমএর প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং স্বাচিপের আজীবন সদস্য। বৃহত্তর রাজশাহীর মানুষ প্রগতিশীল এই চিকিৎসকের উপাধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ এবং পরিচালক হিসেবে ১০ বছরের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থাকায় সরকার তাকেই ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিবেন বলে প্রত্যাশা তার সমর্থকদের। অন্যদিকে, ডা. মোস্তাক হোসেন ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের রামেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে তার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা কম বলে ওয়াকিবহাল সূত্রে জানা গেছে।
নতুন এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রত পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে কেমন ভিসি প্রয়োজন জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা স্বাচিপ সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. চিন্ময় কান্তি দাস বলেন, ‘সৎ, দক্ষ এবং অভিজ্ঞ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একজন প্রগতিশীল চিকিৎসককে ভিসি নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।’ একই বিষয়ে রাজশাহীর অরাজনৈতিক সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে শক্তভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একজন সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভিসির প্রয়োজন।
এস/আর