নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় রাজশাহী-৪ আসন বাগমারায় গিয়ে দফায় দফায় হামলার শিকার হওয়া বিএনপি প্রার্থী আবু হেনা এর জন্য বর্তমান এমপি ও আ’লীগ প্রার্থী এনামুল হককে দায়ী করেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর রেলগেট এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এর আগে বুধবার বিকেলে নৌকার সমর্থকরা দফায় দফায় তার উপর হামলা করে। এমনকি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলাতেও তার উপর হামলা হয়। হামলা করে তার গাড়ী ভাংচুর করা হয় ও নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তিনি রাজশাহী ফিরে আসেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বুধবার বাগমারার ভবানীগঞ্জ থেকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য রামরামা হয়ে গোয়ালকান্দিতে উপস্থিত হয়ে পথসভা করে ও পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী হামিরকুৎসা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে গোয়ালকান্দি মাদ্রাসার সামনে পৌঁছাতেই আ’লীগের কর্মীরা লাঠি, সোঠা, হাসুয়া নিয়ে আমাদের পথরোধ করে হামলা চালায়। দুুপুর পৌনে ৩টার দিকে বাগমারার ওসিকে মোবাইলে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে। এরপর পুলিশের সহায়তায় হামিরকুৎসা পৌঁছে পথসভা করার সময় তারা আবার হামলা চালায়। এ সময় তারা ৫টি মোটরাসাইকেল ভাংচুর করে। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আবার ওসিকে বিষয়টি জানায়। ওসি পুলিশ পাঠালে তাদের সহায়তায় ভবানীগঞ্জ থেকে মোহনপুরের উদ্দেশ্যে যায়। পথে মোহনপুর পার হওয়া মাত্র ২০/২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ীতে হামলা চালিয়ে গাড়ী ভাংচুর করে। এ ছাড়া গতকাল রাত ৮টার দিকে নির্বাচনী প্রধান অফিসে ও উপজেলা দলীয় কার্যালয় পুলিশ পরিচয় দিয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরে এমপি প্রার্থী আবু হেনা বলেন, এমপি এনামুল হকের মদদে আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে এনামুল এমপির সকল সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। পুলিশকে ব্যবহার করে আমার দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করাচ্ছে। অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এমপি এনামুলের মদদেই এই হামলা করা হয়েছে বলে তিনি আরো অভিযোগ করেন। এ হামলার জন্য মামলা করা হবে। এর সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
খবর ২৪ ঘন্টা/আরএস