1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
নাটোরের নদীর থেকে উদ্ধারকৃত শিশু নাম রাখা হল ‘নূরজাহান’ - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ১৫ জানয়ারী ২০২৫, ০:৩২ অপরাহ্ন

নাটোরের নদীর থেকে উদ্ধারকৃত শিশু নাম রাখা হল ‘নূরজাহান’

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯

নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ার বিহারকোল এলাকায় বড়াল নদীর তীরে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধারকৃত সেই কন্যা শিশুর দায়িত্ব নিলেন এক নিঃসন্তান দম্পতি। রোববার বিকালে বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কার্য সহকারী বজলুর রশীদ ও গৃহিনী ফাহমিদা বেগম দম্পতি নবজাতককের ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। উপজেলার চকগোয়াশ গ্রামে তাদের নিজ বাড়িতে শিশুটিকে নিয়ে যান। বজলুর রশীদ চকগোয়াশ গ্রামে সোহরাব হোসেনের ছেলে।
বজলুর রশীদ জানান, পরিচয়হীন ওই কন্যা শিশুটিকে লালন-পালনের দায়িত্ব আমি নিজে নিয়েছি। এখন

থেকে নিজের সন্তানের পরিচয়েই বড় করবেন এই কন্যাকে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারের পর থেকে চিকিৎসাধীন নবজাতকটিকে কোলে তুলে নেন তার স্ত্রী ফাহমিদা। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ছাড়পত্রে নবজাতকের বাবার নামের স্থলে তার নাম (বজলুর রশীদ) লিখেছেন। এদিকে সেই দম্পতি নবজাতকের নাম রেখেছেন ‘নূরজাহান’।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আরেফিন জানান, প্রাথমিক ভাবে নবজাতকটিকে নিউমনিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তাকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে সুস্থ থাকায় তাকে ছাড়পত্র দিয়ে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন জানান, শনিবার দুপুরে কান্নার শব্দ পেয়ে সদ্যনবজাতকটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় যুবকরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ বড়াল নদীর তীরে লেবু

গাছের নিচ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর থেকে বেশ কিছু নিঃসন্তান দম্পতি তার লালন-পালনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কার্য সহকারী বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী ফাহমিদা আবেদন করেন শিশুটি লালনপালন করবে বলে । পরে তাকেই আমরা শিশুটির লালনপালন করার জন্য দ্বায়ীত্ব অর্পন করি। এদিকে শিশুটির জন্মদাতা পিতা-মাতার কোন খোঁজখবর আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি যেহেতু বড়াল নদীর উপর দিয়ে রেল লাইন চলে গেছে তাই হয়তো ট্রেন থেকে কেউ ফেলে যেতে পারে।

আর/এস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST