নাটোর প্রতিনিধি: সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরে নাটোরের ঘোড়াগাছার বাসিন্দা মুদি ব্যবসায়ী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ আহম্মেদ বুলবুল (৪৬) আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি শহরতলীর ঘোড়াগাছা দক্ষিণ এলাকার মৃত খন্দকার লতিফ মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শহরতলীর ঘোড়াগাছা গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী সুদ কারবারি মর্জিনা বেগমের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেন বুলবুল। সুদসহ প্রায় তিন লাখ টাকা পরিশোধ করেন। তারপরও এক লাখ টাকা দাবি করে অত্যাচার চালিয়ে আসছিলেন মর্জিনা।
শনিবার রাত ১০ টার দিকে মর্জিনা লোকজন দিয়ে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর উলঙ্গ করে মারপিট করে দুটি ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর নেন। সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরে বুলবুল রোববার ভোরে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ নাটোর এনে গাড়িখানা গোরস্থানে দাফন করা হয়।
নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আহম্মেদ সেলিম বুলবুলের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী সুদ ব্যবসায়ী মর্জিনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমতিয়াজ আহম্মেদ বুলবুলের ভাগ্নে সোহাগ জানান, তার মামা মৃত্যুর আগে ব্যক্তিগত ডায়েরিতে সুদ ব্যবসায়ী মর্জিনা বেগমের অত্যাচার-নির্যাতনের কথা লিখে গেছেন।
এ ব্যাপারে মর্জিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নাটোর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।