নাটোর প্রতিনিধি, নাটোরের বড়াইগ্রামে হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অবগত থাকার পরেও প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের আহম্মেদপুর মহিসুন্নাহ হাফেজিয়া মাদরাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মাদরাসার ক্বারী আতাউর রহমান (৩৫) ও সভাপতি আহম্মেদপুর এলাকার গণি হাওলাদার (৭০)। আতাউর বাগাতিপাড়া উপজেলার দিঘাপাড়া গ্রারেম আক্তার হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দিয়ে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ৫ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষক বলাৎকার করতেন। গত শনিবার রাতে নতুন এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করলে তার রক্তপাত শুরু হয়।
রবিবার সকালে মাদরাসা সভাপতিকে বিষয়টি জানালে ওই শিক্ষার্থীকে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় সভাপতি। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে নিজ এলাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে ইউএনও আনোয়ার পারভেজসহ তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী ৪ শিক্ষার্থীর শিকারোক্তির ভিত্তিতে শিক্ষক আতাউর রহমান এবং সভাপতি গণি হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাদের নামে মামলা দিয়ে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বড়াইগ্রামের ইউএনও আনোয়ার পারভেজ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ