নাটোর প্রতিনিধি: টিউবওয়েল বসানোকে কেন্দ্র করে নাটোর সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল ১১ টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত লবু সরদারের ছেলে ফজলুর রহমান (৪০), নবী সরদার (৪২), রেজাউল সরদার (৩৫), আলতাফ সরদার (৩৫), একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহেল সরদার (২০), রেজাউল সরদারের স্ত্রী মীরা সরদার (২৪), নবীর উদ্দিন শাহর ছেলে বাবলু শাহ (৫৫), নবীর উদ্দিনের মেয়ে নুর নাহার (৩০), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহাগ (১৬), আয়নাল সরদারের ছেলে কামরুল সরদার (২৫), সদর উপজেলার কৃষ্টপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে সোহাগ (১৮) ও সদর উপজেলার হুগোলবাড়ীয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাবিনা খাতুন (২৫)। এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেজাউল সরদার ও নবী সরদারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের টিউবওয়েল বসানো নিয়ে মিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাক ও বাবলু শাহর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হয়ে বাবলু শাহর ওপর হামলা চালায়। এ সময় বাবলু শাহর সমর্থকরা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে তাদের থামাতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ১২জনকে এবং বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করেন। দুইজনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানান পুলিশের এ কর্মকতা।
/জেএন