নাটোর প্রতিনিধি: সারাদেশের মত নাটোরে ও সরকারি নির্দেশনা মেনে সীমিত পরিসরে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেয় আজ রোববার থেকে জেলা প্রশাসন। সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল খোলার কথা থাকলেও খোলা হয়েছে শহরে ছোট বড় সকল দোকানপাট। তাই আজ সকালে হঠাৎ বাজার মনিটরিংয়ে বের হন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ দুপুরের শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে দেখেন। প্রশাসনের লোকজন আসবে এমন খবর পেয়ে হঠাৎই মার্কেট জনশূন্য হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসক এ সময় বিভিন্ন দোকানপাট ঘুরে দেখেন এবং দোকানিদের সঙ্গে কথা বলেন। সরকারি নিয়ম নীতি মানা অর্থাৎ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, দোকানে দোকানে স্যানিটাইজার রাখা সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় দোকানিরা নিয়ম মেনে দোকানপাট খোলা রাখার ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফুল ইসলাম সহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও পুলিশের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু জেলা প্রশাসনের লোকজন মার্কেট ছেড়ে যাবার পরপরই প্রত্যেকটি দোকানেই ভিড় লক্ষ করা গেছে, সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউ। দোকানদারও হিমশিম খাচ্ছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। সচেতন মহল মনে করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে নাটোরবাসী। রাস্তায় পরিবহনের চাপ বেড়েছে, রিক্সা অটোরিক্সা ভ্যান প্রভৃতি যানবাহনে ভরে গেছে শহর। এমতাবস্থায় পুলিশি মনিটরিং জোরদার এর কথা বলছেন তারা। এদিকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়ার জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে দোকানপাট খোলা, ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে কাজ করছে প্রশাসন। এছাড়া আন্তঃজেলা, আন্তঃউপজেলার জনগনের চলাচল সীমিত রাখা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে নিয়মিত মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসন। এ সময় তিনি জনগণকে উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন আপনাদের নিজেদের প্রয়োজনে নিজের পরিবারকে বাঁচাতে নিজের সুরক্ষিত থাকুন অন্যকে সুরক্ষিত রাখুন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। আপনি আক্রান্ত হলে শুধু আপনি নন এর দূর্ভোগে পড়বে আপনার পুরো পরিবার। অযথা বৃষ্টি করবেন না ভিড়ের মধ্যে নিজেকে নিয়ে যাবেন না। কারণ ভিড়ের মধ্যেই থাকতে পারে একজন করোনা রোগী, তাই নিজেকে সচেতন করুন ভীড় পরিহার করুন।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।