রাশেদুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি: মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। গত আট মাসে প্রশাসনের হিসাবে জেলায় ছোট-বড় ২ শতাধিক দুর্ঘটনায় প্রায় ১১০ জনের প্রানহানীর ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয়দের দাবি এ সংখ্যা আরো বেশি।মহাসড়কে অবৈধ যানবাহ, বেপোয়ারা গতিকেই দুষছে স্থানীয়রা। এর থেকে উত্তরনে যথাযথ পদক্ষেপে নেওয়ার দাবি সচেতন মহলের। নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কদমছিলানের এই স্থানে বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে কয়েকদিন আগে দুর্ঘটনায় নারী শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়। শুধু এই স্থানেই নয় নাটোরের প্রতিটি সড়কেই প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণ হানীর ঘটনা। এর জন্য মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন, লাইসেন্স বিহীন চালক এবং বেপোয়ারা গতিকেই দুষছে স্থানীয়রা। প্রশাসন অবশ্য দায় স্বীকার করে বলছেন জন সচেতনতা ছাড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।
পথচারী ও স্থানীয়দর দাবি, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের পাশে পায়ে হাটা রাস্তা ও ছোট যানচলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান করে দূর্ঘটনা কমানো যে পারে বলে মনে করে সচেতন মহল। মহাসড়কের পাশে সরকারী হাসপাতাল নির্মান জরুরী।
নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে নাটোর বনপাড়া হাটিকুমরুল-ঢাকা ও নাটোর-পাবনা মহাসড়কে থ্রি হুইলার, লছিম,করিম, ভুটভুটি, ফিটনেস বিহীন গাড়ি গুলো মহাসড়কে চলাচল বন্ধ করতে হবে। বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানো যাবে না। আভারটেকিং সাবধানে করতে হবে। সাধারন মানুষদের সচেতন করতে হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন