নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় ব্রহ্মপুর, মাধনগর,খাজুরা পিপরুলসহ প্রায় সববাজারে বাজারে দেখা মিললো বাইম,টেংরা,সিং,বোয়ালসহ নানা প্রজাতির দেশীয় পোনা মাছ । যার আকার এক ইন্বিচ বা তারো কম। খবর নিয়ে জানা যায় মাছ গুলো ধরা হয়েছে অবৈধ চায়না বা ঢলুক জাল দিয়ে । নলডাঙ্গা অধ্যুষিত বারোনই নদী ও হালতিবিলে সবেমাত্র বর্ষার পানি এসছে । এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দেশীয় পোনা মাছ নিধনের মহাউৎসব । আগের নিষদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জালের নাম শুনা গেলে ও এবার নতুন করে তৈরি হয়েছে চায়না জাল বা ঢলুক জাল । এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা আর চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ফুট দৈর্ঘের ও হ্মুদ পাশ বিশিষ্ট ঢলুক আকৃতির এই
জাল পাতা হয় নদীর তলদেশ দিয়ে । কিছু অস্বাধু জেলারা কৈশলে এই জাল পেতে রাখে নদীর তলদেশ দিয়ে । যেখানে শুধু হ্মুদ্র মাছের পোনা নয় মাছের ডিম পর্যন্ত আটকা পরে । সাথে রয়েছে খেয়া জাল । তবে দিনের বেলায় এ সব জাল চোখে পরে না । এলাকাবাসি জানান দিনের বেলায় নদীর মধ্যে খেয়া জালের শুধু কাঠামো পরে থাকতে দেখা যায় । আর রাত হলেই এই অসাধু জেলারা এই খেয়া জাল লাগিয়ে শুরু করে মাছ স্বীকার করা । আর ভোর হতেই জাল খুলে লুকিয়ে রেখে মাছ বিক্রি করতে আসে বাজারে ।
স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট মহীউদ্দিন আহমেদ মিন্টু সংশয় প্রকাশ করে বলেন যেভাবে প্রতিদিন মাছের পোনা শিকার ও বিক্রি হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে এক সময় দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে । এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার আশা প্রকাশ করেন । একই সাথে প্রকৃত ও পেশাদার জেলেদের প্রাপ্ত প্রনোদনা নিশ্চতকরনের মাধ্যমে এই নিধনকাজ নিরৎসাহিত করা যেতে পারে বলে তিনি আশা করেন ।
একই কথা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা ও নলডাঙ্গা সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার সমীর কুমার আচার্য্য ,তিনি বলেন বর্ষা মেসৈুমের শুরুতেই যেভাবে অবৈধভাবে মাছের পোনা ধরার নামে নিধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । তা শুধু দুঃখজনকই নয় বরং আগামীতে দেশীয় মাছ সহ বিভীন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত ও হুমকির মুখে পরবে বলে তিনি মনে করেন ।
তবে এ বিষয়ে কনো সদুত্তর দিতে পারেনি কোন জেলে বরং তারা অভিযোগ করে বলেন চৈত্র-জষ্ট এই তিন মাস মাছ ধরা নিষেদ ছিলো আমরা ধরিনি ।অবার এই তিন মাস সরকারি প্রনোদনা পাওয়ার কথা থাকলে ও তা পাইনি । যদিও এই তিন মাস নদীতে পানি ছিলোনা ।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান এ বিষয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে । মা ও পোনা মাছ নিধন রোধে জনসচেতনতা মুলক প্রচারনা কাজ শুরু করেছি পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে উপজেলার হালতিবিল টাংকি,বাঁশভাগ ও কালিগঞ্জ বেশ কিছু জাল পুরিয়ে দেওয়া হয়েছে । এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন জনসচেতনতা লেেহ্ম মাইকিং ও অভিযান অব্যাহত আছে এবং খুব দ্রæত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে ।
এস/আর