আধুনিক অলিম্পিক গেমসের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৮৯৬ সালে। এর পরের আসর হয়েছিল ফ্রান্সের প্যারিসে। ১৯০০ সালের পর অলিম্পিক আয়োজনে ফ্রান্সকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দুই যুগ। ১৯২৪ সালের পর তৃতীয় বারের মতো অলিম্পিকের আয়োজক ফ্রান্স। সেই সঙ্গে ১০০ বছরের অপেক্ষা ঘুচতে যাচ্ছে ফরাসিদের।
তাই এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাপক চমক রেখে প্যারিস অলিম্পিক কমিটি। আগামীকাল (শুক্রবার) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের প্রাণকেন্দ্র পোরটে ম্যালিয়তে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে আয়োজকরা এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফিং করেনি। শেষ মুহুর্তে নিরাপত্তার কারণে খানিকটা রাখঢাক করেই চলছে আয়োজন। তাই এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিন্নতা রয়েছে ব্যাপক।
প্রথমবারের মতো কোনো স্টেডিয়ামে নয়, নদীতে হবে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন। ফ্রান্সের রাজধানী সেন নদীর দুই ধারে গ্যালারিও করা হয়েছে। যেখানে কয়েক হাজার সাধারণ দর্শক গেমসের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।
উদ্বোধনী-সমাপনী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ থাকে মার্চ পাস্ট। সেই মার্চ পাস্টেও থাকছে ভিন্নতা। প্রায় দুইশ’র কাছাকাছি নৌকায় খেলোয়াড়, কর্মকর্তারা মার্চ পাস্টে অংশ নেবেন। যা আগে কখনও হয়নি।
নদীতে আয়োজনের পাশাপাশি এই গেমসের উদ্বোধনে আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য ‘জিরো কার্বন’। গেমসে আতশবাজি ও আরও অনেক দ্রব্য পোড়ানো হয় যা পরিবেশ উপযোগী নয়। এবারের গেমসে পরিবেশকে অনেক প্রাধান্য দিয়েছেন আয়োজকরা। তাই পরিবেশের প্রতি হুমকি হতে পারে এমন কোনো কর্মকান্ডই রাখা হয়নি।
এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন দেখতে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদরা। এছাড়াও থাকবেন রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গও। করোনা পরবর্তী সময় বিশ্বরাজনীতি এখন নানা বিভাগে বিভক্ত। এমন সময় বিশ্বের প্রায় সকল দেশ এক ছাদের নিচে।
তাই শুধু ক্রীড়া নয়, রাজনৈতিক-কূটনৈতিক দৃষ্টিও থাকছে প্যারিসের দিকে। এ জন্য ফ্রান্স সরকারও সচেষ্ট। নানা হুমকি মোকাবেলায় নিরাপত্তা খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও বাজেট রেখেছে।
বিএ…