বিশেষ প্রতিনিধি: সম্প্রতি শিক্ষানগরী রাজশাহীতে নতুন কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছেন আবু কালাম সিদ্দিক। যোগদানের পরেই তিনি আরএমপির উর্দ্ধতন সকল কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। যোগদানের মাত্র একদিন পরেই করেছেন বিশেষ কল্যাণ সভা। সেই সভায় আরএমপির সব পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও মাদক উদ্ধারে সর্বোচ্চ অভিযানের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সেই বিষয়ে থানার ওসি ও নগর গোয়েন্দা শাখাকেও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সুষ্ঠ পুলিশিং গড়ে
তুলতে থানায় আসা সেবা প্রত্যাশীদের সাথে ভালো ব্যবহার এবং ভালোভাবে কাজ করার পরামর্শও দেন তিনি। বিশেষ কল্যাণ সভার পর রাজশাহীতে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন আরএমপি কমিশনার। সাংবাদিকদের সামনে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। সেই সাথে মাদকের সাথে সখ্যতাকারী কোন পুলিশ সদস্যকে বাহিনীতে প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন। কেউ জড়িত থাকলে ও তার প্রমাণ পেলে সেই সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়। মহানগর পুলিশের নয়া কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এর দৃঢ় ও কঠোর হুঁশিয়ারির পর নড়েচড়ে বসেছে থানাগুলো। থানাগুলোতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার
অভিযানও পূর্বের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়াও পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতারকৃত আসামীর সংখ্যাও বেড়েছে। নয়া কমিশনার যোগদানের আগে আরএমপির নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানে প্রতিদিন প্রায় ১২টি থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানে ১০ থেকে ১২ জন আটক হতো। কিন্ত বর্তমানে প্রতিদিন আরএমপির নিয়মিত অভিযানে ৩০ থেকে ৩৫ জন গ্রেফতার হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে।
বিশেষ কায়দায় পাচার করার চেষ্টাকালে হেরোইন, ইয়াবা, চোলাই মদ ও গাঁজা উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। মাদক উদ্ধার ছাড়াও নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টে নজরদারির সংখ্যাও বেড়েছে। এতে করে নগরবাসী মনে করছেন চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা কমে আসবে। পুলিশের নজরদারি বেশি থাকলে আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, বর্তমান আরএমপি কমিশনার প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুরের খাবার বিরতির সময় বাদ দিয়ে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করছেন। যেটি আগের কোন কমিশনারের বেলায় লক্ষ্য করা যায়নি।
প্রথমবারের মতো আরএমপিতে সাইবার অপরাধ বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ বিভাগ চালুর কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যারা অপরাধ করবে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা সহজ হবে। কমিশনারের পক্ষ থেকে থানাগুলোর সেবার মান বাড়ানোর ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এমকে