ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন মালিকদের ধর্মঘট। বাস ও ট্রাক বন্ধের সঙ্গে শনিবার (৬ নভেম্বর) যোগ হয়েছে লঞ্চও। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে রোববার (৭ নভেম্বর) সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী কর্মীরা। ফলে ভোগান্তি মাথায় নিয়ে কাজে যোগদান করতে হচ্ছে খেটে-খাওয়া মানুষদের।
রোববার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় বিকল্প পরিবহনে (সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা, বাইক) ভাড়া গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ-তিনগুণ। অনেকেই বাধ্য হয়ে শেয়ার করে সিএনজি ও বাইকে উঠছেন। অনেকেই আবার ভাড়া বেশি হওয়ায় হেঁটেই গন্তেব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা পড়েছেন বেকায়দায়। পরিবহন না থাকায় তাদেরকে হেঁটেই যেতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে বিভিন্ন গন্তব্যে বিআরটিসি বাস চললেও অতিরিক্ত ভিড়ে উঠতেই পারছেন না অনেকে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে বলতে পারছে না কেউ। সরকারের পক্ষ থেকে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আর মালিক পক্ষ বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে রোববার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাস মালিকদের।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮০ টাকা করা হয়। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিচালক-মালিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বাস-লঞ্চ মালিকেরাও।
বিএ/