নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের সর্বমিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহীতে রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছির ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে শুক্রবার দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার পরিমাণ কমেছে। তাপমাত্রা কমায় কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলার মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি বিপদের মধ্যে পড়েছেন ছিন্নমূল ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তবে সূর্য উঠায় কিছুটা রক্ষা
পায় এ এলাকার মানুষ। তাপমাত্রার পরিমাণ আরো নিচে নামতে পারে। রাজশাহীর উপর মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে চলছে। শুক্রবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৩ দশমিক ৭, সিলেটে ১৩ দশমিক ৫, খুলনায় ৯ দশমিক ৮, বরিশালে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে ৮ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পরিমাণ কমার কারণে রাজশাহীতে শিশু ও বয়স্করা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। শিশুরা নিউমোনিয়া ও জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ও বয়স্করা শ্বাষকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহীতে শুক্রবার সর্বনিম্ন
তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ। তাপমাত্রার পরিমাণ আরো কমতে পারে। আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, তাপমাত্রা সাধারণত ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে বলা হয় মৃদু শৈতপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলা হয় মাঝারি শৈতপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
খবর ২৪ ঘন্টা/এমকে