নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। এ নির্বাচন পাতানো নির্বাচন। এটা ষড়যন্ত্রের নির্বাচন। ১৯৭০ সালে মানুষ যেভাবে পাকিস্তানকে বয়কট করেছিল। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে একইভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এদেশের মানুষ। যখন তারা বুঝেছে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বয়কট করে ধানের শীষকে ক্ষমতায় আনবে তখন প্রশাসন-পুলিশ দিয়ে ২৯ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতি করে আমাদের বিজয় ঠেকিয়ে দিয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দুলু আরো বলেন,
আপনারা জানেন আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এবং মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেগম জিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন নাটক শুরু করেছে সরকার। কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন প্যারোলের আবেদন করলে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন। অথচ সেই নেত্রীকে কারাগারে আটকে রেখে নাটক করছেন সরকার। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে তাঁরা। বেগম জিয়াকে আইনের মাধ্যমে মুক্ত করা সম্ভব নয়। আন্দোলন করেই আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। কিন্তু আমরা আন্দোলন করলে সরকার বলে বিএনপি
নাকি সন্ত্রাসী দল। দেশে কিছু হলেই বিএনপির দোষ। আবার আন্দোলন না করলেও বিএনপি ঘরে ঢুকে গেছে, বিএনপির শক্তি নাই বলে বেড়ায় তারা। সরকারকে আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি, অনেক সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু আর নয়।
তিনি আরো বলেন, দলকে আবারও নতুনভাবে তৃণমূল পর্যায় সাজাতে হবে। যারা ত্যাগী, সাহসী, অতীতে জেল-জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। যারা ভয় পায় না, আমরা এ ধরনের সাহসী নেতাকর্মীকে দলে রাখতে চাই। তৃণমূল থেকে দলকে সংগঠিত করে এ সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা নেত্রীকে জেলখানা থেকে বের করে আনতে চাই বলে উল্লেখ করেন দুলু।
রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) এ্যাডভোকেট সৈয়দ
শাহীন শওকত, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক খালিদ হাসান পাইন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু, সদস্য সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মন্টু। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা মামুন।
এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার মন্ডল, সাবেক সংসদ সদস্য জাহান পান্না, রাজশাহী জেলা কমিটির সহ-সভাপতি নুরজ্জামান খান মানিক, বিশ্বনাথ সরকার, বজলুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম, শামিউল ইসলাম মুন, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মজিদ, রোকনুজ্জামান আলম, আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টি.এস জিয়াউর রহমান, আশরাফুল ইসলাম বার্ড, রায়হানুল আলম রায়হান, তাজমুল তান টুটুল, ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, তানোর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও প্রচার সম্পাদক তোফায়েল হোসেনসহ পৌর, উপজেলা, ও জেলা বিএনপি’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কার্যনির্বাহী কমিরিট নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা এবং পৌর বিএনপির দুইশত ৩০ জন প্রতিনিধি।
আর/এস
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।