খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেল প্রকল্পে দুর্নীতির যে অভিযোগ করেছেন তা প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণ করতে না পারলে বিএনপির বিরুদ্ধেও মামলা করবো।’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মন্তব্যের কারণে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায় বিএনপি। ক্ষমা না চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়। তার জবাবেই শনিবার (৯ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ১২টি দেশে খালেদা জিয়া ও তার স্বজনদের বিনিয়োগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে শপিং মল ও কাতারে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো ও খালেদার ভাই শামীম ইস্কান্দার ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এই খবর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে। বাংলাদেশি পত্রপত্রিকাও এই খবর প্রচার করেছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘কানাডিয়ান টেলিভিশনের খবরের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অকপটে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। শেখ হাসিনা যা বলেছেন জেনেশুনে বলেছেন। তথ্য প্রমাণ আছে বলেই বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরেক সংবাদ সম্মেলনে যে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেছেন সেটাই বিএনপির চরিত্রের আসল বহিঃপ্রকাশ। মির্জা ফখরুলের ওই বক্তব্য কখনও কখনও মনে হয় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা, কখনও মনে হয় সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, কখনও মনে হয় অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার চেষ্টা। ধান ভানতে শিবের গীত গেয়েছেন। সত্য বলার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে, তাই তিনি অকপটে সত্য কথা বলেছেন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘সৌদি আরবের বর্তমান প্রিন্স দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। সেখানে ১১ জন প্রিন্স অভিযুক্ত ও কেউ কেউ গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বলেছেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, শামীম ইস্কান্দার ব্যবসায়িক কাজে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। সৌদি আরব, কাতারসহ ১২টি দেশে তারা বিনিয়োগ করেছেন। এই খবরে বিএনপির কেন গাত্রদাহ। দুদকের প্রতি আহ্বান জানাই, তদন্ত করে সঠিক তথ্য বের করে এত বড় কেলেঙ্কারি বিচারের আওতায় আনা হোক। দুদকে গিয়ে প্রমাণ করুন আপনারা (বিএনপি) নির্দোষ।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশ্নের অবতারণা করেছেন সেটা আপনারা প্রমাণ করুন। দুর্নীতি করলে আদালতে আসতে হবে, বিচারের আওতায় আসতে হবে। ইতোমধ্যে দুদক তদন্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বিএনপির দুর্নীতি প্রমাণিত, আর প্রমাণের প্রয়োজন নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ