1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দুর্গাপুরে তরমুজ ক্ষেতে পচনে চিন্তিত কৃষক! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন

দুর্গাপুরে তরমুজ ক্ষেতে পচনে চিন্তিত কৃষক!

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৫ মে, ২০২১
তরমুজের দরদাম নিয়ে সারাদেশে আলোচনার কমতি নেই। তীব্র তাপদাহ ও রমজান মাসের কারণে এবার বাজারে দাম চড়া, এতে খুশি চাষিরাও। দাম বেশি হলেও ক্রেতাদের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সেই তরমুজ চাষ করে লাভের আশা ফিঁকে গেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউনিয়নের মোহাম্মাদপুর গ্রামের তরমুজ চাষি আব্দুল আজিজের। তিনি উপজেলার একমাত্র তরমুজ চাষি।
পোনে দুই বিঘা জমিতে চাষ করি ছিলেন তরমুজ। কিন্তু ভাইরাস সংক্রমণের ফলে খেতেই তরমুজ গাছের পাতা হলুদ ও সবুজের মিশ্র রঙ ধারণ করে গাছ ও ফল মরে গেছে। তরমুজ পরিপক্ক হওয়ার আগেই এমন বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তরমুজচাষি আজিজ।
দুর্গাপুর কৃষি অধিদপ্তর জানায়, উপজেলায় একমাত্র তরমুজ চাষি আব্দুল আজিজ। তার বাড়ি পানানগর ইউনিয়নের মোহাম্মাদপুর গ্রামে। এ উপজেলায় তরমুজ চাষ একদমই নতুন। বছরে হাতে গোনা কৃষকও তরমুজ চাষ করে না। আবার কোনো মৌসুমে দুই একজন চাষি সখের বসে পরীক্ষামূলক তরমজু চাষ করে। এ উপজেলা বছরে অল্প সংখ্যক তরমুজ চাষ হওয়ায় তেমনটা লাভবান হতে পারে না চাষিরা। এ জন্য তরমুজ চাষে চাষিদের তেমনটা আগ্রহ নেই। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণ তরমুজ এসে চাহিদা পূরুণ করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মোড়ক রোগে জমিতেই পঁচে ঝলছে গেছে চাষি আজিজের পোনে দুই বিঘা জমির তরমুজের গাছ। মরা গাছের সাথে অপরিপক্ক তরমুজও পঁচে আছে সাঁরি সাঁরি। প্রায় পোনে দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে ছিলেন তিনি। আগেই ভাইরাসে ১০কাটা জমির তরমুজ মরে যায়। আর বাঁকিটুক ফল আসার পরে মরে সাবাড় হয়ে গেছে। একটা টাকারও তরমুজ বিক্রি করতে পারেন নি চাষি আজিজ।
ক্ষতিগ্রস্ত তরমুজ চাষি আজিজ জানান,আমি পোনে দুই বিঘা জমিতে এ বছর তরমুজ লাগিয়েছিলাম। এতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। প্রথম দিকে জমিতে তরমুজের গাছও হয়ে ছিল ভাল। কিন্তু ফল আসতে ছিল না। গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তরমুজের ফল আসতে শুরু করল। তরমুজও পরিপক্ক হতে লাগলো।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই ভাইরাসের আক্রমণ শুরু হয়। কয়েক দিনের মাথায় ক্ষেতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তাতে খেতের সব তরমুজে পঁচন ধরে জমিতে ঝোলছে পড়ছে। এখন যে অবস্থা, তাতে এক টাকার ফসলও ঘরে যায় নি। পোনে দুই বিঘা জমির তরমুজ শুরুতেই ভাইরাসে ১০কাটার জমির তরুমজ গাছ মরে যায়। পরে বাঁকিটুক তরমুজ খেত ভাল ছিল। ফলও আসলো কিন্তু টিকানো গেলো না।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোমিনুজ্জামান জানান, প্রথমত বীজটা ভাল ছিল না। তারপরও গাছটা বেশ ভাল হয়ে ছিল। ভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর তরমুজ চাষি আজিজকে নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। কিন্তু পরার্মশ অনুযায়ী তরমুজ খেতে পরিচর্যা না করায় ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়ে এমনটা হয়েছে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান জানান, আক্রান্ত তরমুজের খেতে সঠিক নিয়মে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে দ্রুত ভাইরাস এ আক্রমণ করে। চাষি আজিজের তরমুজ খেত কী কারণে তরমুজের পুরো নষ্ট হয়ে গেল এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত তরমুজ চাষিকে সহায়তা দেওয়া হবে।
এস/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST