1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দুর্গাপুরে কাউন্সিলর শামসুলের বিরদ্ধে সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন

দুর্গাপুরে কাউন্সিলর শামসুলের বিরদ্ধে সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: দুর্গাপুরে উপজেলা প্রসাশনের আর্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সরকারি খাল দখল করে বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর কাউন্সিলর শামসুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। এতে ওই খালের দুই পাশের প্রায় শত বিঘা পাকা ধান পানির নিচে ডুবে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সরজমিনে তদন্ত করে খালের দুই পাশের ধান পচে নষ্ট হওয়ার সত্যতা পেয়েছেন উপজেলা প্রসাশন। কিন্তু স্থানীয় প্রসাশনকে কোন তোয়াক্কা না করে খাল ও খাস জমিতে বাঁধ দিয়ে রেখেছেন কাউন্সিলর শামসুল ইসলাম। এমনকি উপজেলা প্রসাশন বাঁধ অপসারনের সাতদিন সময় বেঁধে দেয়ার পরেও কোন তোয়াক্কা করছেন না কাউন্সিলর শামসুল। ক্ষমতার দাপটে খালসহ খাস জমি দখল করে প্রসাশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলেছে তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মাসের প্রথম তারিখে পৌর কাউন্সিলর শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে খাস জমি ও নদী দখল করে বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ তুলে উপজেলা প্রসাশন বরাবর একটি অভিযোপত্র দেন একটি পক্ষ। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন মৃধা সরজমিন তদন্ত করে দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তাকে। পরে উজালখলসি ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল ওহেদ সরজমিনে তদন্ত করে এবং অভিযোগের সত্যতা পান। সেখানে তিনি কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সত্যতা পেয়ে রিপোর্ট দাখিল করেন। ওই রিপোর্টে ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সরজমিনের তদন্ত করে বলেন, উজালখলসী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধিনে ৭৬ নং দেবীপুর মৌজার আরএস ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত সম্পতির দাগ নং২৫০৮ ও জমির রকম পুকুর দেওয়া আছে। সেখানে আরো সরকারি খাস খাল যার দাগ নং২৫০৩ ও ২৫৪৩ দাগের রকম ডোবা হিসাবে রয়েছে। এসব জমি ওই কাউন্সিলর জোর করে দখল নেয় এবং বাঁধ দিয়ে দুই ধারের কৃষকের ধান পানির নিচে ফেলে নষ্ট করে। তদন্তকারি ওই কর্মকর্তা সরজমিনের তদন্ত করতে গেলে এলাকার শত শত কৃষক খালের পাশে এসে প্রতিবাদও করেন। কৃষক ইসব আলী অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ওই খাল গত বছরও পানির প্রবাহমান ছিল। ওই খালের পানি দিয়ে দুই ধারের কৃষকরা কৃষি ফসলের জন্য সেচের কাজে ব্যবহার হত। কেউ কোনদিন এসবে এসে বাঁধ বা বাধা দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ কওে কাউন্সিলর সামশুল এসে সরকারি ওই খাল ও জমি আমার বলে দাবি কওে বসে। এমনকি দুই ধারের সাধারন কৃষকদেও হুমকি দেয়। সেখানে সে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করবেন। কোন কিছু বলতে গেলে মেরে ফেরতে চায়। খালের দুই ধারের প্রায় কয়েক শত কৃষক ধান চাষ করে জীবিকা নিবাহ করেন। এমনকি খাল থেকে সরকার প্রতি বছর সরকারি রাজস্ব প্রায়। কিন্তু হঠাৎ করে কাউন্সিলর শামসুল খালের মাঝখান দিয়ে সরকারি খাস জমিসহ বাঁধ দিয়ে পানি বন্ধ করে দিযেছে। এতে প্রায় কয়েশত বিঘার ধান পানির নিচে পচে গেছেন। দ্রুত প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সাধারন কৃষকরা। এবিষয়ে কাউন্সিলর শমসুল ইসলাম বলেন, আমি প্রসাশনের কাছে ১৪ মাসের সময় চেয়েছি। আমাকে সময় দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন মৃধা জানান, সাধারন কৃষকদের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে সরজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত রির্পোট পাওয়ার পরে বাঁধ সরানোর জন্য তাকে সাতদিনের একটি নোটিশও জারি করেছি। তারপরে বাঁধ না সরিয়ে পূনরায় সময় চেয়েছে। তবে দ্রুত বাঁধ সরানোর জন্য বলা হয়েছে। খবর২৪ঘন্টা/এবি

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST