রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের শাহ্ পাড়ায় অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননের ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ১০টি পরিবার।
কয়েক মাস ধরে এভাবে পানিবন্দী অবস্থায় থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই।
জানা গেছে, নওপাড়া গ্রামের ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত পয়নিস্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে তার খেয়াল খুশিমতো পুকুর খনন করেছে। এতে করে ভারী বর্ষণের কারণে এলাকার প্রায় ৫০ টিরও বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এখনও ১০টি পরিবারের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
এভাবে কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও পানিবন্দী এসব মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পানিবন্দী পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রায় ৫০ টির বেশি পরিবারের লোকজন পরিবারের স্বজনদের নিয়ে পানিবন্দী হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ কোনও ধরনের সহযোগীতা করেনি। তাই আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় কোনও দুর্ঘটনা।
শামিম নামের এক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমরা হাঁটু পানিতে সাপ ও পোকামাকড়ের সাথে বসবাস করছি। পানি নিষ্কাশনের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিলেও কাজ হয়নি। আমাদের কোনও সহযোগীতা না করে আমাদের বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনও সহযোগিতা করেত পারবোনা। এখন কোনও সরকারি বরাদ্দ নাই। তা ছাড়া সেখানে গিয়ে মার খেতে পাবোনা। এখন আমরা আমাদের পরিবারের স্বজনদের কথাই যাবো।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন বলেন, এখন কোনও সরকারি ভাবে পাইপ বরাদ্দ নাই। বরাদ্দ হলে পানি নামানোর জন্য ব্যবস্থা করা হবে।
নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বলেন, আমি পানিবন্দী মানুষদের বলেছি পানি নিষ্কাশনের জন্য যদি দু’চারটা পাইপ লাগলে আমি ব্যবস্থা করে দেবো। প্রয়োজনে লেবার খরচও আমি দেবো।
বিএ/