খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: মাদারীপুরের জেলার রাজৈর থানাধীন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) দুই সদস্যকে হত্যা মামলায় সর্বহারা ডাকাত দলের ২০ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৬ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
২০ জনকে যাবজ্জীবনের কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন -জসিম শেখ ( পলাতক), মাছিম শেখ (পলাতক), শাহাদাত আকন (পলাতক), উজ্জ্ল হাওলাদার (পলাতক), জাফর মাতুব্বর (পলাতক), কুব্বাস মাতুব্বর (পলাতক), দবির মোল্লা, দাদন ফকির (পলাতক), মোশারফ হোসেন মোল্লা (চেয়ারম্যান), মোতালেব মাতুব্বর ওরফে মোতালেব মেম্বার, আমির হোসেন শেখ (পলাতক), ফয়েজ শেখ (পলাতক), দিপু ওরফে টিপু বিশ্বাস, সুমন ওরফে শামীম, আসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম বাবু ওরফে বাবুল, মোশারফ শেখ, আশ্রাব শরীফ, হালিম আকন (পলাতক), মাসুদ শিকদার, হেলাল শিকদার, বজলু আকন, আজাদ মোল্লা, হেমায়েত মোল্লা ওরফে মুন্সি মোল্লা (পলাতক), সুমন বাঘা এবং আবুল কাশেম মোল্লা।
খালাসপ্রাপ্ত ৬ আসামি হলেন, মোশাররফ হোসেন মোল্লা, মোতালেফ মাতুব্বর, মাসুদ সিকদার, হেলাল সিকদার, আসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম, শাহাদত আকন।
মামলার ঘটনা থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল নিহতরা মোটরসাইকেল যোগে রাজৈর উপজেলার শাখার পাড় যাওয়ার পর আসামিরা তাদের পথরোধ করেন। ওই সময় নিহতরা তাদের পরিচয় দিলে আসামিরা তাদের ট্রলারে উঠিয়ে হত্যা করে। এরপর তাদের লাশ টুকরো টুকরো করে ট্রলার থেকে নদীতে ছিটাতে ছিটাতে চলে যায়। তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটিও নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
২০০৫ সালের ৫ মে সর্বহারা চরমপন্থীর দলের সদস্য আক্কেল আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আসামি আক্কেল আলী আদালতে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জাবানবন্দি প্রদান করেন। আক্কের আলী ৩৮ জন আসামির নাম প্রকাশ করেন।
২০০৭ সালের ৬ আগস্ট মাদারীপুরের রাজৈর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মোল্লা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এ মামলার মোট আসামি ৩২ জন। তাদের মধ্যে চারজন বন্দুকযুদ্ধে এবং দুজন বিচারকালে মারা যান। বাকি ২৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন পলাতক রয়েছেন।
চার্জশিটে অন্তর্ভূক্ত সাক্ষীর সংখ্যা ৫৬ জনের কথা উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মো. মাহবুবুর রহমান এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট কুতুবউদ্দিন চৌধুরী, মো. আঃ রউফ, শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন