সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী পূর্বাভাস দেয়ার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।
আজ রোববার (২৩ মে) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্নস্থানে নির্মিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ২২৫টি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময়, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ মোকাবিলায় সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দুর্যোগ আসলেই যেন তার আগেই পূর্বাভাস আমরা দিতে পারি, আমাদের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পূর্বাভাসটা দেওয়ার ব্যবস্থাটাও করব। কিছুটা আমরা করতে পারি কিন্তু আমাদের যে বিশাল সমুদ্রসীমা সম্পূর্ণটা যেন করতে পারি তার জন্য ব্যবস্থা আমরা নেব।
সমুদ্র সংলগ্ন বদ্বীপ হওয়ায়, ছোট্ট এই ভূখণ্ড প্রায়ই আক্রান্ত হয় বন্যা, জলোচ্ছ্বাস কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে। করোনা মহামারিতেও গত বছর আম্পানের আঘাত সয়েছে দেশ। আগাম প্রস্তুতি আর সতর্কতায় দুর্যোগে ঝুঁকি কমিয়ে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামীতে এমন দুর্যোগ সহনীয় পর্যায়ে এনে জানমালের ক্ষতি কমাতে এবার একযোগে দেশব্যাপী ২২৫ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র ও ৫টি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধান বলেন, দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে।
আমরা আবার সতর্ক করছি আরেকটা ঘূর্ণিঝড় কিন্তু আসছে, সেটা কেবল তৈরি হচ্ছে, সেটা কতদূর যাবে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে অনেক আগে থেকে জানতে পেরে এরই মধ্যে সতর্কতা নিতে শুরু করা হয়েছে। সতর্ক থেকে ঝুঁকি হ্রাস করতে পারব আশা করি। সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সব দুর্যোগ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী জানান ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ থেকে রক্ষা পেতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
পরে, অনলাইনে সংযুক্ত নোয়াখালীর সুবর্ণচর, বরিশালের উজিরপুর এবং গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সরকার প্রধান।
জেএন