খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: বিরাট কোহালি থেকে শ্রদ্ধা কপূর। সবাই এখন স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য জোর দিচ্ছেন গ্রিন টি-র ওপর। কী এমন রয়েছে গ্রিন টি-তে যার জন্য নিউট্রশনিস্টরাও একে বলছেন ওয়েট লস বেভারেজ? দিনের কখন খেলেই বা সবচেয়ে উপকার পাওয়া যায় এই গ্রিন টি?
কেন গ্রিন টি শরীরের জন্য ভাল
অন্যান্য চায়ের মতো গ্রিন টি আমাদের শরীরে জারিত হয় না। তাই এই চা অন্য চায়ের তুলনায় স্বাস্থ্যকর। অনেক রকম ফ্লেভার তো বটেই, বাজারে ভেষজ গ্রিন টি-ও পাওয়া যায়। গ্রিন টি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে দেয় না। রক্তনালীতে এই সব ফ্যাট জমলে রক্ত সঞ্চালন বাধা পায়।
মেটাবলিজমের মাত্রা বাড়িয়ে দ্রুত ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি পলিফেনল ও ফ্লাভনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
গ্রিন টি কখন খাওয়া সবচেয়ে উপকারী?
নিউট্রিশনিস্ট অঞ্জু সুদ জানাচ্ছেন, গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও দিনে ৩ কাপের বেশি খাওয়া উচিত নয়। এর বেশি গ্রিন টি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। বেশি পরিমাণ গ্রিন টি শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান বের করে দিতে পারে। সকালে মেটাবলিজমের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই সকালে উঠে গ্রিন টি খুবই উপকারী। আবার সন্ধেবেলা যখন আমাদের মেটাবলিজমের মাত্রা কমে যায় তখন গ্রি টি মেটাবলিজম মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। অঞ্জুর মতে, তাই গ্রিন টি খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় সকাল ১০-১১টা মধ্যে বা সন্ধ্যাবেলা।
অন্য দিকে, ম্যাক্রোবায়োটিক নিউট্রিশনিস্ট ও হেলথ প্র্যাক্টিশনার শিল্পা অরোরার মনে করেন, সকাল ও সন্ধে দুই সময়ের জন্যই ভাল গ্রিন টি। তবে যাদের ঘুম নিয়ে সমস্যা রয়েছে তাদের সন্ধেবেলা গ্রিন টি না খাওয়াই ভাল কারণ তা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আবার যেহেতু গ্রিন টি ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে তাই খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা পর গ্রিন টি খাওয়াও উপকারী।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ