খবর২৪ঘন্ট নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে প্রায় ৩ হাজার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে মুক্তি প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপে ২ হাজার ৩২৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
তিন মাস সাজা খাটা এসব বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা এরইমধ্যে কারাগারগুলোতে পাঠানো হয়েছে। কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মনজুর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, কারাগারগুলোতে ২ হাজার ৩২৯ জনের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২ হাজার ৮৮৪ জন বন্দির অবশিষ্ট কারাদণ্ড মওকুফ করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ছয় মাস থেকে এক বছর সাজা ভোগকারী, তিন মাস থেকে ছয় মাস সাজা ভোগকারী এবং তিন মাস পর্যন্ত সাজা ভোগকারী বন্দিরা মহামারীর কারণে এই মুক্তির সুযোগ পাচ্ছেন।
সেই হিসেবে গত শনিবার প্রথম ধাপে ছয় মাস থেকে এক বছর সাজা ভোগকারী ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। গত রোববার থেকে দ্বিতীয় ধাপে মুক্তি পান ৩৮৫ জন বন্দি। এবার তিন মাস কারাভোকারী বাকি ২ হাজার ৩২৯ বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হল শুক্রবার থেকে।
এই ধাপে ঢাকা বিভাগের কারাগারগুলো থেকে ৯৫৩ জন বন্দি মুক্তি পাচ্ছেন বলে একজন কারা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে কয়েকটি কারাগার থেকে তৃতীয় ধাপের বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগের ৭৭ জন কারা বন্দির মধ্যে অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
যশোর বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রিজন) ছগীর মিয়া বলেন, খুলনা বিভাগে তৃতীয় ধাপে মুক্তি পাচ্ছেন ১৫৮ জন বন্দি। শনিবারই তাদের মুক্তি দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী, এসব বন্দিদের মুক্তির সময় জরিমানার অর্থ আদায় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে ৬৮টি কারাগারে ৯০ হাজারের মতো বন্দি রয়েছে, যা কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি। কোভিড-১৯ অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে বলে কারাগারগুলোতে ঝুঁকির মাত্রা থাকে অত্যন্ত বেশি। সেজন্য বন্দির চাপ কমানোর উদ্যোগ নেয় সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে বন্দিদের ডিউটি দেওয়ার সময় কয়েকজন কারারক্ষী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন কোনো বন্দি কারাগারে আনা হলে তাকে ১৪ দিন আলাদা রাখা হয় এবং তারপর অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখা হয় বলে কারা-কর্মকর্তারা জানান। বন্দিদের মধ্যে কারো জ্বর-ঠাণ্ডা দেখা দিলেই তাদের আলাদাভাবে রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
খবর২৪ঘন্টা/নই