আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবল তুষার ধস, বৃষ্টি ও তীব্র শীতে পাকিস্তান, ভারত এবং আফগানিস্তানে গত তিনদিনে ১৪২ জন নিহত হয়েছে। ভারী তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকর্মীরা দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় পৌঁছাতে পারছেনা বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
দেশগুলোর কর্মকর্তাদের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনদিনে পাকিস্তানে ৯৩ জন নিহত ও ৭৬ জন আহত, আফগানিস্তানে ৩৯ জন এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ১০ জন নিহত হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, সামনের দিকে আবহাওয়া আরও বেশি দুর্যোগপূর্ণ হয়ে ওঠবে। এছাড়াও ওই এলাকাগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ওয়াসিম উদ্দিন বলেছেন, পাকিস্তানে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে, যেখানে ৬২ জনের মতো মারা গেছে এবং ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৫ জন।
কাশ্মিরের নীলাম উপত্যকায় ৪১ জন, বেলুচিস্তানে ৩১ জন, পশ্চিম পাঞ্জাবে ১২ জন এবং অন্যান্য অঞ্চলে বাকিরা নিহত হয়েছে।
বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, তুষার ধসে যারা মারা গেছে তাদের অধিকাংশই শিশু ও মহিলা। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকর্মীরা যেতে পারছেন না। এখনও তুষার ধস চলমান থাকায় যাওয়া প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে সেনা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আফগানিস্তানের দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীর বরাতে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমদ তামিম আজিমি জানিয়েছে, তুষার ধসে ৩০০ এর বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৯ জন মারা গেছে, এর মধ্যে এক রাতেই মারা গেছে ১৫ জন। দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া তুষারপাত বৃষ্টির ফলে ওই এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বরফ জমার কারণে ছাদ ধসে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো দক্ষিণ কান্দাহার, হেলমান্দ, জাবুল ও পশ্চিম হেরাত প্রদেশ। এর মধ্যে হেরাতে এক পরিবারেই শিশুসহ ৭ জনই মারা যায় বাড়ির ছাদ ধসে।
এদিকে ভারতীয় এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে টাইম নিউজ জানায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সীমান্তবর্তী এলাকায় ১০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জন সেনা সদস্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
এমকে