খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: দেশের সবাইকে একটি করে ফলদ, বনজ ও ভেষজ গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং বৃক্ষমেলা উদ্বোধনকালে তিনি এই কথা বলেন। অনুষ্ঠান শেষে সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে একটি তেঁতুল গাছ লাগান।
তিনি বলেন, “১৯৮৪-৮৫ সাল থেকে প্রতিবছর কৃষক লীগের মাধ্যমে পহেলা আষাঢ় থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হতো। সব কর্মীকে তিনটি করে গাছ লাগাতে বলা হতো। এটা আবার শুরু করবো।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জেলা-উপজেলায় বৃক্ষ মেলার আয়োজন করেছি। মানুষ গাছের চারা কিনে লাগায়। সবাইকে অনুরোধ করবো, যার যার কর্মস্থলে ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন।”
শেখ হাসিনা বলেন, “যত আধুনিকায়ন হচ্ছে, যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে, আমাদের অবিবেচনাপ্রসূত কাজের ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আধুনিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা যা যা ব্যবহার করছি, তার কারণে পরিবেশে দূষণ ছড়াচ্ছে। সাবান, শ্যাম্পু, বডি স্প্রে, ডিটারজেন্ট, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, শিল্প কলকারখানা, সবকিছু থেকে দূষণ ছড়ায়। তবে আমরা পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হচ্ছি। উন্নয়ন দরকার, কিন্তু পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। বৃক্ষরোপণ করতে হবে, জলাধার রক্ষা করতে হবে।”
ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ছোটবেলায় উখিয়ায় যাই, সেখানে কোনো রাস্তা ছিল না তখন। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হতো। ফরেস্ট বাংলোতে আমরা উঠতাম, এর চারপাশে ঘন জঙ্গল ছিল। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় দেওয়া হলো। এখন বন শেষ।”
তিনি বলেন, “মানুষ বাড়লে বন ও পরিবেশ ধ্বংস হয়। সভ্যতার বিকাশ ও উন্নয়ন চলবে। তবে আমাদের পরিবেশও রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা আইন করেছি, মোবাইল কোর্ট হচ্ছে। বড় বড় শহরে, মহাসড়কে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণে জাতীয় অবদান রাখায় ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেন প্রধানমন্ত্রী। বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় অবদান রাখায় তিনটি ক্যাটাগরিতে দুজন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেন। একই সঙ্গে গাজীপুরে শেখ কামাল ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
সারা বিশ্বে ৫ জুন পরিবেশ দিবস পালিত হলেও এবার ওই দিন ঈদ পালিত হওয়ায় সরকার ২০ জুন দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন