1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
তিন মাসে ২০৬ নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ১ জানয়ারী ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন

তিন মাসে ২০৬ নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতেও থেমে নেই নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা। চলতি বছরের গত মার্চ, এপ্রিল ও মে- এই তিন মাসে ৪৮০ জন নারী ও শিশু বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬৭ জন নারী ও ২১৩ জন শিশু। এর মধ্যে ২০৬ ঘটনায় ৯০ নারী ও ১১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।

মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের জনগণও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বিপাকে পড়েছে। করোন সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফায় ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ায় সরকার। এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরের ভেতর অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়। অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় অলস সময় অতিবাহিত করছে। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে হতাশা ও অস্থিরতাবোধ করায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সহিংস আচরণের ঘটনা ঘটছে।

নারী ও কন্যাশিশুর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সবচেয়ে বেশি। নারী ও কন্যাশিশু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণ, শিশু ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, বৈবাহিক ধর্ষণ, বিবাহ-বিচ্ছেদ ও নারী পাচারের ঘটনা ঘটছে।

করোনা সংকটকালীন পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার নারী আন্দোলন উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এসব পারিবারিক সহিংসতার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হলেও বিভিন্ন সূত্রে নারী আন্দোলন কর্মীদের গোচরীভূত হয়। বিভিন্ন সংগঠনের তাৎক্ষণিক সমীক্ষার ফলাফলেও তা দেখা যায়।

নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি যেসব সহিংসতার ঘটনা অধিকতর সংবেদনশীল, সেই ঘটনাগুলোই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। করোনা সংকটকালীন সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যাদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের কাছ থেকে সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগও সীমিত হওয়ায় এবং গণমাধ্যমকর্মীদেরও সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা মনে করি, প্রকৃত তথ্য গণমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে না।

মহিলা পরিষদ তাদের তিন মাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, গত মার্চ, এপ্রিল ও মে এই তিন মাসের খবর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে ৪৮০ জন। এর মধ্যে নারী ২৬৭ জন, শিশু ২১৩ জন। ধর্ষণের ঘটনা ২০৬টি। ৯০ নারী ও ১১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গত মার্চ মাসেই সহিংসতার ঘটনা ২৪৩টি। তার মধ্যে ১৩৯ নারী ও ১০৪ শিশু রয়েছে। ধর্ষণের শিকার ৮১ জন নারী-শিশু। তাদের মধ্যে নারী ৩৮ জন ও শিশু ৪৩ জন।

এপ্রিল মাসে সহিংসতার ঘটনা ১২২টি। এর মধ্যে নারী ৫৮ জন ও ৬৪ জন শিশু। ধর্ষণের ঘটনা ৬৮টি। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী ও ৪৫ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

গত মে মাসে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১১৫টি। এর মধ্যে ৭০ নারী ও ৪৫ শিশু সহিংসতার শিকার। তাদের মধ্যে ৫৭ ধর্ষণের ঘটনায় ২৯ নারী ও ২৮ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST