মামুনুর রশিদ মামুন তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে একদিকে চলছে আলুর চাষে পরিচর্যা অন্যদিকে শীবনদী সংলগ্ন জমিতে বোরোর চাষের বীজতলা প্রস্তুতি নিচ্ছেন উপজেলা কৃষকরা। ফলে দম ফেলার সময় নেই কৃষকদের।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌর এলাকার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, আলু চাষ ও বীজতলা তৈরিতে ব্যাপক ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
বিস্তৃর্ণ দিগন্ত জোড়া মাঠে তাকালে সাদা মাটির উপরে শুরু হয়েছে আলু চাষ। প্রতিটি জমিতে এখন যে আলু চাষ ছাড়া অন্য কিছু দেখা যাচ্ছেনা। সেই জমিতে কেউ কেউ চাষ করছেন আবার কেউ কেউ জমিতে সার প্রয়োগ করছেন।
উপজেলার বেশিভাগ আমন মাঠে লাগানো হচ্ছে আলু। পেটে খাবারের জন্যে মরিয়া শীবনদী সংলগ্ন বোরো চাষিরা। গত বারের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে বীল সংলগ্ন জমিতে চাষিরা বোরার বীজতলা তৈরি করতে শুরু করেছেন।
এ উপজেলার জনসাধারণ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এজন্য শীবনদী সংলগ্ন তালন্দ গোকুল ধানতৈড় গুবিরপাড়া আমশো চান্দুুড়িয়া কামারগাঁ সহ বিভিন্ন নিচু জমিতে বোরো চাষের জন্যে ব্যাপক ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ধান চাষিরা।
কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। এ সাফল্য তাক লাগিয়ে দিয়েছে জেলার কৃষকদের।
কারণ এ উপজেলার কৃষি সব সময় পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে। কখনো প্রচন্ড খরা আবার অধিক বৃষ্টির ফলে বন্যা নিয়মিত প্রাকৃতিক দূর্যোগ লেগেই থাকে।
তারপরও থেমে থাকেনি এ অঞ্চলের কৃষক। ধান চাষে বার বার মার খাওয়ার পরও এলাকার খাদ্য নিশ্চিত করে বিভিন্ন কৃষি পণ্য সরবরাহ করছে অন্যত্র। এ সময় কৃষকদের দম ফেলার সময় থাকে না।
এনিয়ে পৌর এলাকার হরিদেবপুর গ্রামের কৃষক গনেশ জানান, তিনি রবি শস্য থেকে শুরু করে সব রকমের চাষাবাদ করে থাকেন। এবার তিনি ৪০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। তিনি জানান, টেন্ডার নেয়া পুরো জমি। তাই খরচও বেশি।
প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩২ বাজার টাকা করে খরচ হবে। কিটনাশক থেকে শুরু করে কৃষি কাজে ব্যবহৃত সব জিনিসপত্রের অধিক দাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, এবার ১৩ হাজার ১ শ’হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। বোরো বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা ৬৫০ হেক্টর জমি। আলু উত্তোলনের পর যেসব জমিতে বোরো চাষ হবে সেসব জমির জন্যে একটু দেরিতে বোরো বীজ রোপন করেন কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে আছে বোরো বীজ ভাল হওয়ার আশা করছি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি জানান । #
খবর২৪ ঘন্টা/নই