তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি ‘কাবিখা’ ও কাজের বিনিময়ে টাকা ‘কাবিটা’, টেস্ট রিলিফ ‘টিআর’ ও ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের সাড়ে ৫ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভ্রাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়নের সাড়া পড়েছে। প্রায় ০২ বছর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা না থাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন চলমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি (কাবিখা/কাবিটা, টিআর, জিআর, ভিজিএফ, ইজিপিপি), ব্রীজ কালভার্ট নির্মান এবং হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি)সহ সকল প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রমে
ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছিল। গত ০৪ মাস পূর্বে তানোর উপজেলায় নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে তিনি অত্যান্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারী নীতিমালা অনুসরনপূর্বক সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি (কাবিখা/কাবিটা, টিআর, জিআর, ভিজিএফ, ইজিপিপি), ব্রীজ কালভার্ট নির্মান এবং হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) সহ সকল প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছেন। প্রতিটি প্রকল্প নিয়মিত পরিদর্শন করছেন। ৪০দিনের প্রকল্পের শ্রমিকদের মজুরি তাদের স্ব স্ব হিসাবে জমা নিশ্চিত করছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে তা দ্রুততার সাথে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যোগদান করায় প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা ফিরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে কাবিখা-কাবিটা ও টিআর মোট ১৮৩টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ২৪০ মেট্রিকট্রন খাদ্যশস্য ‘চাউল’ বরাদ্দ করা হয়ে এসবের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ টাকা, সুফলভোগীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এছাড়াও ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে মোট ৩৪টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দ এতে করে ১ হাজার ১০০জন শ্রমিক সুফল পাচ্ছে। আবার এইচবিবি রাস্তা দেড় কিমিঃ প্রায় ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। এ বিষয়ে পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, পূর্বে বিল পাশ করার জন্য গোদাগাড়ির অতিরিক্ত
দায়িত্বের কর্মকর্তার নিকট যেতে হতো। এতে অনেক সময় নষ্ট হতো। এখন বিল পাশের ক্ষেত্রে সময় কম লাগায় প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুত হচ্ছে। এনিয়ে বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিলে তা সমাধানে অনেক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যোগদান করায় এখন আর আমাদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়না বিধায় কাজের গতি ফিরে এসেছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আগামী ৩০শে জুনের মধ্যে সম্পূর্ণ করবো। এত করে এলাকায় গ্রামীণ জনপদের হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
আর/এস