তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীর পিতাকে বেধড়ক পিটিয়েছে বখাটেরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ছাত্রীর পিতা রাকিব উদ্দিন বাদি হয়ে সোমবার দুপুরের দিকে তিনজনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এরা হলো উপজেলার নড়িয়াল গ্রামের সম্পা মন্ডলের পুত্র শাকিল হোসেন ও একই গ্রামের ছহির উদ্দিনের পুত্র হাবিবুর রহমান এবং ছলেট উদ্দিনের পুত্র ফয়সাল আহম্মেদ।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানায়, উপজেলার কলমা ইউপি এলাকার নড়িয়াল দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে নড়িয়াল গ্রামের শাকিল, হাবিবুর প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা ধরনের কথাবার্তা বলে আসছিলো ।
এঅবস্থায় গত রোববার বিকেলের দিকে ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ীতে যাবার সময় নড়িয়ালগ্রামের বাবুর বাড়ীর কাছে পৌছামাত্রই শাকিল ও হাবিবুর প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা কু প্রস্তাব দেন । ওই ছাত্রী নিষেধ করা শর্তেও নানা ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলে। বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রী বাড়ীতে এসে পিতাকে সব ঘটনা খুলে বলে। মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে পিতা রাকিব উদ্দিন শাকিল ও হাবিবুরকে তার মেয়েকে এসব কথা না বলতে অনুরোধ করেন ।
কিন্তুু তারা রবিবার বিকালে ছাত্রীর পিতা খড়িবাড়ি হাট থেকে নিজ বাড়ীতে আসার পথে নড়িয়াল সিংড়া পুকুরের পূর্বপার্শ্বে শাকিল,হাবিবুর এবং ফয়সাল হোসেন অটোরিক্সা থেকে টেনে হেচড়ে নামিয়ে বেধড়ক বাশের লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে । এসময় ছাত্রীর পিতা রাকিব উদ্দিন চিৎকার দিলে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
এনিয়ে ছাত্রীর পিতা রাকিব উদ্দিন জানান, বেশ কিছু দিন ধরে আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্ত করে তাঁরা। আমি ঘটনা শুনে তাদের কে ভালো ভাবে এসব কথা বলতে নিষেধ করি । নিষেধ করার কারণে আমাকে তাঁরা মারপিট করেছে । আমি এর দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তি চায় ।
এ নিয়ে শাকিল হাবিবুর ও ফয়সাল আহম্মেদ জানান, তার মেয়েকে কিছু না বলে আমাদের উপর দোষ দিচ্ছেন এজন্য তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারধরে বিষয়টি অস্কীকার করেন তারা।
এনিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাবার পর অভিযুক্তদের আটকের ব্যাপারে অভিযান চলছে। আটকের পর সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে এমন ঘটনা পুনরায় না ঘটে বলে জানান এ কর্মকর্তা ।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ