খবর২৪ঘন্টা স্বাস্থ্য ডেস্কঃ
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা জিমনেসিয়াম বা ফিটনেস সেন্টারগুলোতে নারীদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কম বয়সী থেকে শুরু করে বয়স্ক- অনেক নারীই এখন নিয়মিত জিম করছেন সুস্থ থাকার প্রত্যাশায়।
ঢাকার এমন অনেক জিমে পুরুষদের পাশাপাশি একই স্থানে শরীরচর্চা করেন নারীরাও। আবার কোনো কোনো সেন্টারে নারীদের জন্যে রয়েছে আলাদা সেকশন।
রাজধানীর মালিবাগে ‘ফিটনেস বাংলাদেশ’ নামে এমনি একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানকার ট্রেড মিলে দৌঁড়াচ্ছিলেন তরুণী কানিজ ফাতেমা। তিনি বলেন, ‘এখানে যা আছে, সবই করার চেষ্টা করি। ট্রেড মিল, সাইক্লিং বেশি করি। বডিতে যাতে ফ্যাট না জমে বা স্লিম থাকা যায়, সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’ তার পাশেই থাকা গৃহবধূ ফারহানা ইসলাম বলেন, ‘এখানকার পরিবেশটা ভালো। বাইরেতো এমন পরিবেশ পাওয়া যায়না। আমি এখানে সাইক্লিং, কার্ডিও ও বিভিন্ন ধরনের ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করি।’ মেয়েদের ফিটনেস সেন্টারে আসা এবং তাদের সাথে অনুশীলন করাকে পুরুষরা কিভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়সাল হামিদ নামে এক যুবক বলেন, ‘এটা খুব ভালো যে, ছেলে-মেয়ে একসাথে জিম করছে। এখানে অনেক মেয়ে আসছে। প্রাইভেসিও আছে। পরস্পরের প্রতি একটা শ্রদ্ধাবোধ সবার মধ্যেই আছে।’
‘ফিটনেস বাংলাদেশ’-এর মালিক ও এর প্রধান প্রশিক্ষক মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, ‘একসাথে পড়ালেখা বা চাকুরি করতে পারলে ছেলে-মেয়েরা একসাথে জিম করতে পারবেনা কেন? সেটি মাথায় রেখেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, প্রথম দিকে মেয়েরা না আসলেও এখন তার প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকই মেয়ে। আনুষ্ঠানিক কোন হিসেব না থাকলেও ফিটনেস বাংলাদেশের মতো অনেক জিমনেসিয়াম বা ফিটনেস সেন্টার রয়েছে ঢাকায়।
সিদ্ধেশ্বরীতে কমব্যাট জিমের নারী সেকশনের প্রশিক্ষক শামপা আল মজিদি জানান, প্রতিদিন ৩শ’র বেশি বয়সী নারী তাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
ফিটনেস বাংলাদেশ ও কমব্যাটের জিমের চেয়েও বড় পরিসরে ফিটনেস সেন্টার রয়েছে ঢাকার বসুন্ধরা শপিং মলে।সেখানে অ্যাডোনাইজ ফিটসেন সেন্টারে দুটি আলাদা সেকশনে নারী ও পুরুষদের জন্যে রয়েছে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক।
রাজধানীর এসব ফিটনেস সেন্টারগুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, একেক সেন্টারে একেক ধরনের ফি দিতে হয় স্বাস্থ্য সচেতনদের।কেউ বছর ভিত্তিক আবার কেউবা তিন বা ছয় মাসের জন্যে এগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন।
খবর২৪ঘন্টা / সিহাব