খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: বহুল আলোচিত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর সাময়িক বরখাস্তের এ প্রজ্ঞাপন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জারি করেছে। মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরখাস্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তার (ডিআইজি মিজান) বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী মিজানুরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হবে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।
ডিআইজি মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গেল বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিয়ে গোপন করতে নিজের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল ।
এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর মিজানুরকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; সে দায়িত্ব যিনি পালন করছিলেন, সম্প্রতি দুদকের সেই পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তোলেন ডিআইজি মিজান। এর সপক্ষে তাদের কথোপকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে এলে তড়িঘড়ি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠায়। মিজানের ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ অধিদপ্তর।
এছাড়া সোমবার ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন