খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক:মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া মাত্র ২০ টাকা। কিন্তু বাস ভাড়া ১০০ টাকা।’
এই মুহূর্তে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
আজ সোমবার রেল ভবনে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেন কোম্পানির সাথে রেলের লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সুজন বলেন, ‘এই মুহূর্তে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। তবে ভবিষ্যতে তা অন্যান্য পরিবহনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় কিনা তা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মবিন চৌধুরী। অন্যদিকে হুন্দাই রোটেনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়াং উল কিম।
চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৮ মাস পর ২০ লোকোমোটিভ সরবরাহ করবে ওই কোম্পানি। চুক্তি অনুযায়ী খরচ হবে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৫ হাজার ৩৮০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়ান সরকার যৌথভাবে এ অর্থায়ন করছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রেলের ভাড়া বাসসহ অন্যান্য পরিবহনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার বিষয়ে সুপারিশ করতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আহমেদ মোর্শেদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি খুব শিগগিরই আমার কাছে প্রতিবেদন পেশ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া মাত্র ২০ টাকা। কিন্তু বাস ভাড়া ১০০ টাকা। এই মুহূর্তে ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ভবিষ্যতে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে, যাতে ভাড়া বাড়ালেও কোনো সমস্যা না হয়।’
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়ের যেসব পরিবহন প্রাইভেট খাতে দেয়া আছে সেগুলোর চুক্তি আর বৃদ্ধি করা হবে না। ‘ট্রেনের সমস্ত ব্যবস্থাপনা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসব। আর প্রাইভেটভাবে রেল পরিবহন হবে না।’
সুজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা শুধু লোকোমোটিভ কিনব আর সেগুলো প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় দেব, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালাতে পারব না, এটা হবে না। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ট্রেন চালানোর যোগ্যতা অর্জন করতে যা যা করার দরকার তা করব।’
রেলে যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘রেলে যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে অবকাঠামো উন্নয়নসহ অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি। মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে পরিণত করা হচ্ছে। সিঙ্গেল লাইন থেকে ডাবল লাইনের পরিকল্পনা আছে। ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ফোর লাইন করা হবে।’
তিনি বলেন, দ্রুতগামী ট্রেন আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুরনো লোকোমোটিভ পরিবর্তন করে নতুন লোকেমোটিভ আনা হচ্ছে।
নূরুল ইসলাম সুজন জানান, আগামী ২৮ মাসের মধ্যে লোকোমোটিভ সরবরাহ করতে হবে। কোনো সময় বৃদ্ধি করা যাবে না।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন