1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
টাকার লোভে হেলালকে টুকরো টুকরো - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ১২:২২ অপরাহ্ন

টাকার লোভে হেলালকে টুকরো টুকরো

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২২ জুন, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর দক্ষিণখানে মাদ্রাসাছাত্র ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী মো. হেলাল উদ্দিনের খণ্ড খণ্ড দেহাংশ উদ্ধারের পর তার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ জানায়, বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে থাকা কিছু টাকা আত্মসাতের জন্য গলায় ডিস এন্টেনার তার পেঁচিয়ে হেলালকে হত্যা করেন চার্লস রুপম সরকার এবং মনি সরকার দম্পতি। জিজ্ঞাসাবাদে ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন তারা।

সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে ঘটনার বর্ণনা দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।

আবদুল বাতেন বলেন, গত ২১ জুন রবিবার সন্ধ্যায় গাবতলী বাসষ্টান্ড এলাকা থেকে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চার্লস রুপম সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিম। এ সময় রুপমের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো বটি, ছুরি, ডিস এন্টেনা তার ও সাত হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গত ১৫ জুন দক্ষিণখান এবং বিমানবন্দর থানা এলাকায় এক অজ্ঞাত যুবকের খণ্ডিত মাথা এবং কোমর থেকে পায়ের অংশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ফিঙ্গার ইম্প্রেশনের মাধ্যমে যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, তদন্তের একপর্যায়ে সিসিটিভির ফুটেজ, তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট দুজন নারীকে শনাক্ত করে ডিবি। গত ১৭ জুন দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে শনাক্তকৃত নারী রাশেদা আক্তার এবং মনি সরকারকে গ্রেপ্তার করে বিমান বন্দর জোনাল টিম। গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে দক্ষিণখানের জামগড়া এলাকার একটি ডোবা সংলগ্ন ডাস্টবিন থেকে হেলাল খণ্ডিত মস্তক উদ্ধার করা হয়। এই নারীদের কাছ থেকে লুট হওয়া ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করার পাশাপাশি মূল আসামি চার্লস রুপম সরকার কখন, কোথায়, কিভাবে হেলাল উদ্দিনকে হত্যা করে মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় গুম করে রেখেছিল তা বিস্তারিতভাবে জানা যায় ।

ডিএমপির এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরে লুট করা টাকার অংশবিশেষ নিয়ে আত্মগোপনের যাওয়ার চেষ্টা করছিল রুপম। গ্রেপ্তারকৃত রুপমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পূর্ব পরিচিত হেলালের কাছে অনেক টাকা পয়সা আছে ভেবে টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই সে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়। হত্যাকাণ্ডের দিন দুপুরবেলা ফেসবুক মেসেঞ্জারে কল করে হেলাল উদ্দিনকে ফটোস্ট্যাট মেশিন কিনতে যাওয়ার কথা বলে বাসায় আসতে বলে রুপম সরকার। বাসায় আসার পর চার্লস রুপম সরকার এবং তার স্ত্রী মনি সরকার হেলালকে চা পান করতে দেয়। চা তৈরি করার সময় রুপম সরকার চায়ের মধ্যে ঘুমের দুইটি বড়ি গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেয়। চা পানের এক পর্যায়ে হেলাল ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ডিস এন্টেনা তার হেলালের গলায় পেচিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুই দিক থেকে টেনে হেলালের মৃত্যু নিশ্চিত করে।

আবদুল বাতেন বলেন, হেলালকে হত্যার পর তার বিকাশ এবং নগদ অ্যাকাউন্টে রক্ষিত টাকা থেকে ৪৩ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয়। তার স্ত্রী মনি সরকারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেয় শাশুড়ি রাশেদার কাছে। আর রুপম মৃত হেলালের লাশটিকে বাথরুমে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে রাতেই শপিং ব্যাগে করে খণ্ডিত মাথাটি রেখে দেয় ভূঁইয়া কবরস্থানের সামনে ডোবার ডাস্টবিনের মধ্যে। পরের দিন সকাল সাড়ে নয়টায় রুপম সরকার অটোরিকশায় করে লাশের অবশিষ্ট অংশ বস্তায় ভরে উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রেখে আসে।

নিহত হেলাল উদ্দিন একজন কোরআনে হাফেজ এবং নারায়ণগঞ্জের একটা মাদ্রাসায় ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি দক্ষিনখাণ এলাকায় ফ্লেক্সিলোড, মোবাইল কার্ড বেচাকেনার ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি মোবাইল সিম, ফ্লেক্সিলোডের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য খাতা কলম, স্টেশনারি এবং খেলনা সামগ্রীর ব্যবসা করে আসছিলেন।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST