সমালোচকদের ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টক, মিষ্টি, ঝালের মিশেলে অনেকে অনেক সময় কথা বলেন, তবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা করার দরকার করবো। রোববার (১০ অক্টোবর) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র পারমাণবিক চুল্লিপাত্র (রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল-আরএনপিপি) স্থাপন কাজের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুপুর পৌনে ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশটিকে জাতির পিতা চেয়েছিলেন উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে। সেটি আমরা করবো, এটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশে একটা কিছু করতে গেলে এত সমালোচনা হয়। নানাভাবে নানাজনে বুঝে না বুঝে অনেক কথা বলে ফেলে, লিখে ফেলে। টকশোতেও অনেক কথা হয়। টক, মিষ্টি, ঝাল মিশিয়ে অনেক কথা হয়। এটাই তো বাংলাদেশের নিয়ম বা চরিত্র। কোনো একটা কিছু করতে গেলেই কেউ এটার মধ্যে খুঁত খোঁজে। তবে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শুরু করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ পরমাণু শক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটা স্থান করে নিতে পারলাম, সেটা শান্তির জন্য। বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। সবার জন্য বিদ্যুৎ এটা আমাদের লক্ষ্য, এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে এখন আর পরিবেশ দূষণ হয় না। কারণ এখন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
এসময় দক্ষিণ অঞ্চলে আরেকটা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জায়গা খুঁজছি। আমার ইচ্ছা পদ্মার ওপারে করা। তাহলে দক্ষিণ অঞ্চলের বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব জিয়াউল হাসান স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিওচিত্র পরিবেশিত হয়।
পারমাণবিক প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা-ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক অ্যানার্জি অ্যাসোসিয়েশন (আইএইএ) গাইড লাইন অনুযায়ী এবং সংস্থাটির কড়া নজরদারির মধ্যদিয়েই রূপপুর প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
জেএন