রোববার দুপুরে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই দুই সহকারী শিক্ষিকা। ইতোমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সরাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবেশ চন্দ্র রায় একই বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষককে মোবাইলে অশ্লীল দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বলেও কোনো সমাধান না পেয়ে, রোববার জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেন ওই দুই ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।
তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আখতারুজ্জামান বলেন, শ্লীলতাহানির বিষয়ে দুই শিক্ষিকা অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভুক্তভোগী এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, চাকরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বাক্ষরের জন্য প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গেলে তিনি কথার মাঝে আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। বিষয়টি আমার সিনিয়র শিক্ষক শাজাহান আলী ও জহুরুল ইসলামকে জানালে তারা সভাপতিকে জানান। পরে সভাপতির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তারপরও তিনি আবার গত ৪ জুলাই অন্য এক সহকারী শিক্ষিকাকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নিজ মোবাইলে হাতে দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত বের করতে বলেন। ওই শিক্ষিকা মোবাইল হাতে নিয়ে অশ্লীল ভিডিও দেখে মোবাইল ফেলে অফিস কক্ষ থেকে দ্রুত বের হয়ে সব শিক্ষকদের জানান।
এরপরও কোনো বিচার না পেয়ে রোববার দুপুরে সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন ওই দুই সহকারী শিক্ষিকা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ভবেশ চন্দ্র রায়ের মোবাইল ফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখেন।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন