1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান সায়মার - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান সায়মার

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০

লন্ডনে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম (সিভিএফ)-এর এক উচ্চ-স্তরের সংলাপে ফোরামের থিম্যাটিক দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন জলবায়ু পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় সিভিএফ-কপ২৬ সহনশীলতা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।  বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ আহ্বান জানান।

সায়মা বলেন, ‘প্রতিবন্ধী, স্বাস্থ্য সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের লোকজনসহ অত্যন্ত দুর্বল এবং প্রান্তিক ব্যক্তি ও সম্প্রদায়কে জলবায়ুজনিত মারাত্মক ঘটনা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মানসিক আঘাত সহ্য করতে সহায়তায় আমাদের অবশ্যই জলবায়ুর সর্বোত্তম অনুশীলন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। লন্ডনে নবগঠিত সিভিএফ হাইকমিশনার/অ্যাম্বাসেডরস ফোরামের অংশ হিসাবে ইউকে এফসিডিওতে পরিবেশ ও কপ২৬-এর প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক মিনিস্টার লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সিভিএফ বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা গোষ্ঠীর চেয়ার এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সালিমুল হক এবং অ্যাডাপ্টেশন সম্পর্কিত গ্লোবাল সেন্টারের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ড. প্যাট্রিক ভার্কোইজেন সংলাপের উচ্চ পর্যায় অংশে বক্তব্য রাখেন।

জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামে বাংলাদেশ প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। লন্ডনে অবস্থিত সিভিএফ-এর ৪০ সদস্য রাষ্ট্রের হাই কমিশনার ও রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসাবে যুক্তরাজ্যের উচ্চাকাক্ষী জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনার পাশাপাশি ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্য নিঃসরণের দিকে ওপর জোর দেন। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ভার্চুয়াল বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের প্রকৃতি-ভিত্তিক সহনশীলতা কর্মসূচির প্রশংসা করেন। তিনি সিভিএফ দেশগুলোর উচ্চাভিলাষী অভিযোজন ও সহনশীলতার পরিকল্পনাকে সহায়তায় বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন যে, কার্বন নিঃসরণে দায় নগণ্য হলেও বাংলাদেশ এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম রয়ে গেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব এবং এর জনগণের সাহস ও শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

শাহরিয়ার বলেন, ‘জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে কারও সাহায্যের অপেক্ষায় না থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশের নিজস্ব ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত ও ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করেন এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ করে, ‘মুজিব প্ল্যানেটারি সমৃদ্ধির দশক (২০২০-৩০) এবং অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করেন।

সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু অংশীদারি ফোরামের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিভিএফ প্রেসিডেন্সি হিসাবে বাংলাদেশ সিভিএফ সদস্য দেশগুলোর ১.২ মিলিয়ন অসহায় মানুষের জন্য অরো স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে কপ২৬ প্রেসিডেন্সি হিসেবে যুক্তরাজ্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে। সূত্র: বাসস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST