জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসে। তিনি এমন একসময় এই ডাক দিলেন, যখন প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পঞ্চমবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছেন বিশ্বনেতারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য মিলেছে।
সংকটের মাত্রার তুলনায় প্রতিশ্রুতি এ চুক্তিতে অনেকাংশে বাড়ানো হয়েছে। প্যারিস চুক্তির গতিবেগ বাড়াতে একটি সম্মেলনে গুতেরেস এ আহ্বান জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের কাছ থেকে নতুন করে আসা প্রতিশ্রুতি ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চুক্তিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা এটি বাঁচিয়ে রাখার আশা নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে।
২০২১ সালের শেষের দিকে গ্লাসগোতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার আগে আরও দুঃসাহসী উদ্যোগের অঙ্গীকার ও চলমান প্রতিশ্রুতির সামান্য পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছেন কয়েক ডজন নেতা।
তবে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ ত্বরান্বিত করতে নতুন নীতির কথা বলছেন না তারা। ভিডিওকলের মাধ্যমে পর্তুগিজের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে নাটকীয় জরুরি অবস্থার মুখোমুখি, তা কি কেউ অস্বীকার করতে পারবেন?
এটিকে নিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি বলেন, যে কারণে আজ আমি বিশ্বজুড়ে নেতাদের জলবায়ু জরুরি অবস্থান ঘোষণা করতে আহ্বান জানাচ্ছি। কার্বন নির্গমন একটি নিরপেক্ষ জায়গায় না আসা পর্যন্ত এই জরুরি অবস্থা জারি রাখা উচিত।
প্যারিস চুক্তি হওয়ার পর থেকে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব ক্রমবর্ধমান বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়ায় যেমন দাবানল দেখা দিয়েছে, তেমনি ক্যালিফোর্নিয়ায় বরফ গলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে আসা হুশিয়ার শুনতে নেতাদের প্রতিও চাপ বাড়ছে।
সম্মেলনের সহআয়োজক ব্রিটেন নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা শুক্রবার বলেছেন, বিদেশি জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে ব্রিটিশ সরকার কোনো সরাসরি সমর্থন দেবে না।
জেএন