খবর ২৪ ঘণ্টা, বিনোদন ডেস্ক: বন্ধুকে রিপ্লাই করতে গিয়ে ইমোজিতে আপনি মজা করে হামেশাই চোখ মারেন৷ রিয়েল লাইফে শেষ কবে কাউকে চোখ মেরেছেন, মনে পড়ে?
স্মৃতির পাতা উল্টানোর দরকার নেই৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য হট কেকের মতো ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখলেই মনে পড়ে যাবে আপনার শেষ চোখ মারার স্মৃতি৷ নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে যেতেও পারেন আপনি৷ মনে পড়ে যেতে পারে প্রথম কবে প্রেমিকার চোখের দিকে চেয়ে চোখ মেরে দুষ্টু ইশারা করেছিলেন৷
স্কুল হোক বা কলেজ লাইফ, প্রত্যেকের জীবনেই চোখ মারার মজার মজার গল্প রয়েছে৷ একসময় চোখ মেরে ইশারাতেই বুঝিয়ে দেওয়া যেত না বলা অনেক কিছু৷ ক্লাসের এক কোণে বসেই পঞ্জাবি পড়া ছেলেটা ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটাকে চোখ মেরেই ঝারি মারার সাহস পেত৷ গল্পে নয়, বাস্তবেই দেখা যেত এমন দৃশ্য৷
এখন অবশ্য চোখ মারার সেই চল আর নেই৷ বন্ধুদের আড্ডা এখন শুধুই হোয়াটস অ্যাপে৷ সেখানে জায়গা পেয়েছে ভারচুয়াল চোখ মারার ইমোজি৷ ক্লাস-ক্যানটিন কিংবা চায়ের আড্ডায় এখন আর ভ্রু-য়ের হালকা দুলুনিতে চোখের ভেল্কি চোখে পড়ে না৷ হারিয়ে গিয়েছে ‘খাঁটি’ চোখ মারার রীতি৷ এখন চোখে মেরে কেউ বলে না ‘শামাজ দারো কে লিয়ে ইশারাই কাফি হোতা হ্যায়’৷
রবির দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ নেটিজেনেকে অবশ্য নসট্যালজিক করে দিলেন এক সুন্দরী স্কুল গার্ল৷ দু’চোখের হালকা দুলুনিই মনে মনে করিয়ে দিল অনেকের অনেক কিছু৷
ভিডিও’য় ধরা পড়েছে স্কুলবয়ের চোখের ইশারায় চোখ মেরে উত্তর দিচ্ছেন সুন্দরী স্কুলগার্ল৷ কখনও ডান কখনও বা বাম ভ্রু নাচিয়ে শুরুতে সৌজন্য বিনিময়, এরপর একেবারে সটাং বাম চোখটা টিপে দুষ্টু ইশারায় চোখ মারে মেয়েটি৷ এতেই ঝড় বয়ে গিয়েছে ফেসবুকে৷
কয়েক ঘণ্টাতেই ভাইরাল সেই ভিডিও৷ সেই ভিডিও নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে কেউ লিখেছেন, ‘মনে পড়ে গেল ছোটবেলার সেই সব দিনের কথা।সেই সব দিন আর কখনও ফিরে আসবে না।’ কেউ আবার লিখেছেন এভাবে আজ আর কেউ চোখ মারে না৷ নস্ট্যালজিক হয়ে অনেকে আবার নিজেদের প্রথম চোখ মারার অভিজ্ঞতার কথা উল্ল্যেখ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে৷
ভিডিওটি আসলে ‘ওরু আদার লাভ’ নামে এক দক্ষিণী সিনেমার গানের ভিডিও। গানের নাম মাণিক্য মালারায়া পুভি। গানটি ইউটিউবে ইতিমধ্যেই ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায় উঠে এসেছে ১৭ নম্বরে৷ আর যার চোখের চাউনিতে কুপোকাত হাজারও নেটিজেন তাঁর আসল নাম প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়র।
খবর ২৪ ঘণ্টা.কম/ জন