খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা নৌবাহিনীর ‘বাড়-বাড়ন্তের’ জবাবে পরমাণু শক্তিচালিত ছয়টি সাবমেরিন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। আর এতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
স্থানীয় সময় শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দেশটির নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা।
আগামী ৪ ডিসেম্বর ভারতীয় নৌবাহিনী দিবসের আগে এই সাংবাদ সম্মেলনে সুনীল বলেন, ‘সাবমেরিন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে এবং আপাতত এর বেশি কিছু জানাব না।’
নৌবাহিনী প্রধানের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, হুমকি মোকাবিলার জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে সাবমেরিন ছাড়াও যুদ্ধ জাহাজ ও অস্ত্র যুক্ত করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে সঙ্গে নিয়ে চারদেশীয় জোটের আওতায় প্রকল্পগুলো হাতে নেওয়া হবে।
সুনীল আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের নৌসীমার নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন আছি। সীমানার ভেতর প্রথাগত ও অ-প্রথাগত চলমান হুমকির দিকে আমাদের আরো নজর দিতে হবে এবং তা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এ সময় পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দরে চীনের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ভারতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সুনীল বলেন, ‘এটা (ভারতের জন্য) একটি নিরাপত্তা চালেঞ্জ এবং আমাদের বিষয়টি আমলে নিয়ে নিরসন করতে হবে।’
নৌবাহিনী প্রধান আরো বলেন, ভারত মহাসাগরে সম্প্রতি আটটি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করে চীন। চলতি বছরের আগস্টে চীনা জাহাজের সংখ্যা বেড়ে ১৪-তে পৌঁছায়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর সূত্রে জানা যায়, নৌবাহিনীকে আধুনিক করতে ব্যাপক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ৪০ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ৩৪টি জাহাজ। এ ছাড়া সফলভাবেই এগিয়ে চলছে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী আইএসি-১ নির্মাণকাজ। ২০২০ সালের মধ্যে সেটি নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ