1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ঘটনার তিন বছর পর মামলা, মেয়র আইভীর ভাই-ভাগিনাসহ আসামি ১৭ - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন

ঘটনার তিন বছর পর মামলা, মেয়র আইভীর ভাই-ভাগিনাসহ আসামি ১৭

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত হকার ইস্যুতে সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় তিন বছর পর জেলা আদালতে মামলা করেছেন ওই ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম খান। গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগটি জমা দিয়েছেন নিয়াজুল ইসলাম। তবে হকার ও সিটি মেয়র আইভী রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম খান ঘটনার প্রায় তিন বছর পর আদালতের দ্বারস্ত হলেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে সিটি করপোরেশন মেয়র আইভী রহমানের ছোট ভাই মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জল, ভাগিনা মিনাজুল কাদির মিমন, কয়েকজন কাউন্সিলর ও ঠিকাদারসহ ১৭ জনকে।

সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত নিয়াজুলের অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আদালত একই সঙ্গে আগামী ২০২১ সালের ২২ মার্চ মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আদালত মামলার আবেদনের বিষয়টি সদর থানার ওসিকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মেয়র আইভীর ছোট ভাই মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ঠিকাদার আবু সুফিয়ান, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবদল নেতা মাকসুদুল আলম খোরশেদ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, ভাগিনা মিনাজুল কাদির মিমন, মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ঠিকাদার কামরুল হুদা বাবু, হাজী নেওয়াজ, যুবদল নেতা সরকার আলম, মাহাবুবুর রহমান মাসুম ও অপু সৈকত মেম্বার, মোতালেব, ফারুক ও লিপু।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি শহরের ফুটপাত ইস্যুতে হকারদের সঙ্গে সিটি মেয়র আইভী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেদিন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে যাওয়ার পথে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্বপাশে অভিজাত শপিং মল সায়াম প্লাজা মার্কেটের সামনে ব্যবসায়ী নিয়াজুল ইসলামের ওপর হামলা করে অভিযুক্ত আসামিরা। এ সময় আত্মরক্ষার্থে নিয়াজুল তার সঙ্গে

থাকা লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রদর্শন করলে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করা হয় তাকে। এ ঘটনায় খোয়া যায় নিয়াজুলের লাইসেন্স করা অস্ত্রটি। সে সময় তিনিও  দাবি করেন, মারধর করার সময় তার অস্ত্রটি ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। তবে এর বেশ কিছুদিন পরে নিয়াজুলের খোয়া যাওয়া সেই অস্ত্রটি বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্বপাশে গীর্জার সামনে ফুলের টবের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ।

এছাড়া সংঘর্ষ ও হামলার ওই ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি মেয়র আইভীর ছোট ভাই, সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলর, ঠিকাদার ও সমর্থকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অস্ত্র ছিনতাই ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ তুলে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নিয়াজুল ইসলাম। তবে পুলিশ সে সময় সেটি অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ না করে জিডি হিসেবে লিপিবদ্ধ করেছিলো।

ঘটনার প্রায় তিন বছর পর গতকাল রোববার  নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে জমা দেয়া আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি সমাবেশের সদস্যরা ব্যবসায়ী নিয়াজুল ইসলাম খানকে ইচ্ছাকৃত ভাবে মারধর করে দুই লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণ লুট করে। এ ঘটনায় আদালতে ১৪৩, ১৪৪, ১৪৯, ৩২৩, ৩২৬, ০০৭ ও ৪৩ ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে  রাতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জামান বলেন, এখন পর্যন্ত আদালত থেকে এ ধরনের কোনও নির্দেশনা আমরা পাইনি। তবে আদেশ পেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team