গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:
সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাছ কেটে আবারও শিরোনামে আসলেন অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে অভিযুক্ত মামলার আসামী গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান। দুর্নীতির মামলাটি বর্তমানে দুদকে তদন্তাধীন।সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান তার তাবেদার একজন এমএলএসএসকে দিয়ে এই অপকর্মটি করেছেন। যখন সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যবস্থাপনায় বৃক্ষরোপনের মহোৎসব চলছে তখন আব্দুর রহমান তার অর্থলিপ্সা পরিপূরণের অভিপ্রায়ে বৃক্ষ নিধনের জঘন্য কাজটি করেছেন।গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের সামনের আমগাছ গুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাটিতে। এখানে অন্যকেউ গাছ কাটার অধিকার সংরক্ষণ করেন না। অথচ স্বেচ্ছাচারি অধ্যক্ষ হিসেবে খ্যাত আব্দুর রহমান তার স্বেচ্ছাচারিতার অংশ হিসেবেই গাছ গুলো কেটেছেন বলে সংশ্লিষ্ঠ এলাকার লোকজন মনে করছেন।
গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের ডানে এবং বামে চারটি ফল প্রদানাকরী আমগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ৫টি আমগাছের ডালপালা আংশিক কেটে নিয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা ।এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি জায়গা বুঝি না। গাছ লাগিয়েছি কেটেও নিয়েছি। এভাবে গাছ কাটা আইন সংগত কিনা এবং কলেজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কাউকে বলে গাছ কাটা হয়েছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি মুচকি হাসি দিয়ে নিরুত্তর থাকেন। ইতোপূর্বে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কলেজ গর্ভনিংবডি কর্তৃক তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয় এবং তাকে গর্ভনিংবডি সাময়িক বরখাস্ত করেন। কিন্তু গত ৮ আগষ্ট গোদাগাড়ী কলেজ সরকারি করণের প্রঞ্জাপন জারি হলে আপাতত তিনি নিজকে রক্ষ করার একটু
সুযোগ পান। ৬ সেপ্টম্বর কলেজে ফিরে তিনি তার একনায়োকোচিত মনোভাবের আগ্রাসী দৃষ্ঠিভঙ্গি দেখাতে থাকেন। উপায়ান্তর না পেয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ উমরুল হক রাজশাহী কোটে আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।গাছ কাটার ব্যাপারে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের সভাপতি শিমুল আকতারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি জায়গায় লাগানো কোনগাছ সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া কেউ তা কাটতে পারবে না। বিষয়টি তিনি অবহিত হলেন এবং সত্যি যদি অধ্যক্ষের নির্দেশে গাছ কাটা হয়ে থাকে তাহলে তিনি প্রয়োজনীয় এবং আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।